মঞ্চায়ন হলো ‘স্বরশ্রুতি’র আবৃত্তি প্রযোজনা

Looks like you've blocked notifications!
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় ‘স্বরশ্রুতি’র আবৃত্তি প্রযোজনা ‘মানুষেরা মানুষের পাশে’। ছবি : সংগৃহীত

মঞ্চায়ন হলো ‘স্বরশ্রুতি’র আবৃত্তি প্রযোজনা ‘মানুষেরা মানুষের পাশে’। গত মঙ্গলবার গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৯-এর পঞ্চম দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় এ আবৃত্তি প্রযোজনা।

প্রযোজনার মূল ভাষ্য, “‘যে ঘটনা পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে থামিয়ে দেওয়া যেত গুজরাটে, যে ঘটনা একদিনে চুপ করিয়ে দেওয়া যেত বামিয়ানে-কান্দাহারে, যে ঘটনা দুদিনে থামিয়ে দেওয়া যেত প্যালেস্টাইনে, আমরা তা না করে যে যার নিজের ক্রুশকাঠ বহন করে চলেছি।... ভাই খুঁজে বেড়াচ্ছে ভাইকে। মা বসে আছে ভাত নিয়ে। ছেলে এই আসছি বলে বেরিয়েছিল। বাবা নদী ধরে হাঁটতে হাঁটতে গোধূলিতে শুনতে পেলেন পাখির ডাক। পাখির ডাক নাকি তাঁর পুড়ে যাওয়া বালক পুত্রের কণ্ঠ?’ ওই ভাইকে সম্মান জানাতে এই জমায়েত। ওই মাকে সম্মান জানাতে এই সন্ধ্যা। ওই বাবাকে সম্মান জানাতে এই আয়োজন ‘মানুষেরা মানুষের পাশে’।”

এ প্রযোজনার গ্রন্থনা, নির্দেশনা, কোরিওগ্রাফ, পোশাক, মঞ্চ পরিকল্পনা ও সংগীত ভাবনায় ছিলেন মীর মাসরুর জামান রনি, সহযোগী নির্দেশনায় ছিলেন শাহ আলী জয়, প্রযোজনা ব্যবস্থাপনায় মনিরুল ইসলাম প্রিন্স ও শামীম শেখ, পোশাক ব্যবস্থাপনায় ভারতী হালদার ও সংগীতে ছিলেন আসাদুজ্জামান কিরণ।

এ পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন মো. আহকাম উল্লাহ, মীর মাসরুর জামান রনি, আশরাফুল আলম রাসেল, সেগুফতা ফারাৎ সেঁজুতি, শাহ আলী জয়, জোবায়ের মিলন, জিনিয়া ফেরদৌস, রিয়াজ সেজান, বাপ্পী আখন্দসহ ‘স্বরশ্রুতি’র ৩৮ সদস্য।

‘মানুষেরা মানুষের পাশে’ প্রথম মঞ্চায়ন হয় ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে; দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হয় ২০০৮ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে এবং তৃতীয়বারের মতো মঞ্চায়ন করা হয় গত ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে।