সাক্ষাৎকার

মধ্যবিত্ত শ্রেণি পাঠের প্রতি অমনোযোগী : জাকির তালুকদার

Looks like you've blocked notifications!

ধুলোবালি নেই অন্যদিনের মতো। গতকালের একপশলা বৃষ্টি বসন্তের যে আগমনী বার্তা দিয়ে গেল, তাতে শরীরটাও বেশ ফুরফুরে লাগছে। বিভিন্ন স্টলের নানা সাজ, বসন্ত-পূর্ব আলতো প্রাণ ছুঁয়ে যাওয়া হাওয়া ভালো তো লাগারই কথা সবার। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা এমনই এক সময়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদারও ঘুরছেন স্টল থেকে স্টলে নিজের নতুন বইয়ের খোঁজে এবং অন্য নবীন-প্রবীণদের সৃষ্টিশীল সাহিত্যের খোঁজে। 

সাহস পাবলিকেশন্স থেকে ডানে মোড় নিয়ে সোজা চলে গেলেন চন্দ্রাবতী একাডেমিতে। যেখান থেকে বের হয়েছে এই লেখকের কিশোর উপন্যাস 'বন্ধু আমার'। বইটি হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখলেন তিনি। নিলেনও কয়েক কপি। কথা হলো তখনই। বললেন, “মেলায় প্রথম দিনের মতো এসে খুব ভালো লাগছে। এবার আমার পাঁচটি বই আসবে। নির্বাচিত প্রবন্ধ, নির্বাচিত গল্প, উপন্যাস ‘আহ্নিক গতি ও বহিরাগত’, সঙ্গে 'বন্ধু আমার' তো আছেই।” 

কেমন অনুভব হয় বইমেলায় এলে? মনের কিংবা প্রাণের ক্ষুধার তখন কেমন অবস্থা থাকে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বইমেলায় এলে সারা দেশ থেকে আসা নতুন লেখক-পাঠকের সঙ্গে পরিচিত হই, যা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়। মেলায় যে ধরনের বই চাই, সে ধরনের বই কিনতে পারি। যে কারণে মেলার আকর্ষণ আমার কাছে সবচেয়ে বেশি। দেখলাম পাঠক এবং মেলায় আগতরাও বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে। যদিও অনেকে স্টল খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে। তবে তা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে, আশা করি। মনের খোরাক-প্রাণের খোরাক সবই তো বই মিটিয়ে দেয়। বইয়ের প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখলে সব দুঃখ চলে যায়।’

তবে দুঃখ একটা আছে, আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে এখন পাঠের অভ্যাসটা সরে গেছে। পরামর্শ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, মননের উন্নয়ন যদি না ঘটে, তবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কখনো টেকসই হওয়ার নয়। তাই মননকে গুরুত্ব দিতে হবে। যেখানে পাঠককেই এগিয়ে আসতে হবে অধিকতর। তবে আশার দিক হচ্ছে, বর্তমানে 'সিরিয়াস' বইয়ের পাঠকসংখ্যা বাড়ছে।”