সাক্ষাৎকার

লেখকদের জন্য মেলায় আলাদা পরিচিতি কার্ড হওয়া উচিত : জগলুল হায়দার

Looks like you've blocked notifications!

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আজ এসেছেন জনপ্রিয় ছড়াকার জগলুল হায়দার। তিনি বলছিলেন, ‘বসন্ত আসি আসি করছে। মানুষের মনেও ফুর্তি বিরাজ করছে বলা যায়, যার প্রভাব পড়ছে বইমেলায়। ফুরফুরে বাতাসে নানা স্টল ঘুরে বই দেখতে ভালোই লাগে, যার কারণে বারবার বইমেলায় আসতে ইচ্ছা হয়।’

এবারের বইমেলায় জগলুল হায়দারের তিনটি নতুন বই আসবে। এগুলো হলো 'আলোর আকাশ ভালোর আকাশ', 'পরী আর আসে না' ও 'আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে'।

অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বইমেলা প্রথম দিক থেকেই বেশ জমে উঠেছে। প্রথম শুক্রবারে যে পরিমাণ মানুষের ঢল দেখেছি, তা যদি পরবর্তী ছুটির দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকে, তবে তা হবে মেলার জন্য মঙ্গলজনক। তবে একটা সমস্যাও আমি খুঁজে পেলাম।

সমস্যাটি কী? উত্তরে তিনি বলেন, প্রচুর ভিড় থাকলে লাইন ধরে মেলায় ঢুকতে হয়। অনেক সময় লাগে। অধিকাংশ সময় নজরুল মঞ্চে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান থাকে। ওখান থেকে ফোনের পর ফোন দেওয়ার পরও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সম্ভব হয় না ঠিক সময়ে লাইনের কারণে। তাই বিশেষ বিশেষ দিনের জন্য হলেও অন্তত লেখকদের জন্য কার্ড সিস্টেম থাকা উচিত।

মেলার উপকারে নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত মেলার জন্য উপকার নয়, বরং বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিএসসি থেকে শুরু করে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি, এমনকি একটু বসে আড্ডা দেওয়া যায় এমন জায়গাও রাখা হয়নি। মেলায় তো প্রাণ বাঁচিয়ে রাখে এসবই।