সাক্ষাৎকার

আমাদের কবিতার গন্তব্য থাকা উচিত : আলতাফ শাহনেওয়াজ

Looks like you've blocked notifications!

চৈতন্যর স্টল ঘিরে আছে ১০-১৫ জন। একের পর অপেক্ষা করছে অটোগ্রাফ সহ ‘আলাদিনের গ্রামে’ কবিতার বইটির জন্য। অনেক সময় অটোগ্রাফ মিলছে তো কথা বলার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কথা বললে অটোগ্রাফ দেওয়া হয়ে যাচ্ছে দুরূহ ব্যাপার। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১১তম দিবসের সন্ধ্যায় এমন ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় প্রথম আলোর সাহিত্য সম্পাদক আলতাফ শাহনেওয়াজকে।

কাছে গিয়ে একটা অটোগ্রাফসহ ‘আলাদিনের গ্রামে’ আমিও নিয়ে নিলাম। পরে শুরু হলো কথার স্রোত, সেখানে উঠে এলো কবিতা ভাবনা।

এবারের বইমেলায় ‘আলাদিনের গ্রামে’ শাহনেওয়াজের একমাত্র কবিতার বই। এতে রয়েছে ছন্দে ফিরে যাওয়ার একটি অনিন্দ্য প্রচেষ্টা। এ চেষ্টার অন্তরালের খবর জানতে চাইলে শাহনেওয়াজ বলেন, ‘বাংলা কবিতার দিকে তাকালে দেখি, যে কবিতাগুলো ভালো, সব ছন্দেই লেখা। আমিও তাই চেষ্টা করলাম ছন্দে ফিরে যাওয়ার। ‘আলাদিনের গ্রামে’ কাব্যে সব কবিতাই সনেট। মাইকেল মধূসুদনের হাত ধরে বাংলা সাহিত্যে সনেটের আগমন। ভাবলাম কবিতাকে একবার তার ছন্দ ফিরিয়ে দিয়ে দেখি কেমন দেখায়।

গদ্য কবিতা সম্পর্কে শাহনেওয়াজের অভিমত, ‘বর্তমানে বেশির ভাগ কবিতাই রচিত হচ্ছে গদ্য ফর্মে। এ ফর্মে চালাকি করার একটা ব্যাপার থাকে (সবার কথা বলছি না)। আমি অবশ্য গদ্য কবিতার বিরোধী না। তবে তাকে আত্মস্থ করে লিখতে হবে। কবিতা পড়লে মনে হয় অনেকের কবিতাই কবিতা না বরং কবিতা সদৃশ কিছু। তাই কবির সতর্ক হওয়া উচিত কবিতায় যেন প্রাণ থাকে সেদিকে।  

আমাদের কবিতার নির্দিষ্ট গন্তব্য থাকা উচিত উল্লেখ করে শাহনেওয়াজ যুক্ত করেন, ‘ভাষা নতুন আর্ট তৈরি করে। নতুন দ্যোতনা তৈরি করে। আজকাল বেশির ভাগ কবিতায় এ দ্যোতনা খুঁজে পাই না। শুধু গন্তব্যহীন কিছু চিত্রকল্প তৈরি করলেই কি আমরা তাকে কবিতা বলব?’

শাহনেওয়াজ জানালেন সব মিলিয়ে মেলায় এসেছেন মোট চারদিন। বললেন, ‘বই বের হলেও আসি, না হলেও আসি। তবে ভালো লাগবে যদি মানুষ বই কিনে বেশি বেশি।’