৮২তম জন্মদিনে ‘সব্যসাচী শিল্পী’ উপাধিতে ভূষিত মুস্তাফা মনোয়ার

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : শিপন আলী

বরেণ্য ও প্রথিতযশা শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, শিল্পের ভুবনের সর্বত্রই যাঁর পদচারণা। গতকাল ছিল তাঁর ৮১তম জন্মবার্ষিকী আর ৮২তম জন্মদিন। তাঁর এই জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ’-এর আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্যালারি চত্বরে অনুষ্ঠিত হলো ‘পথচলার ৮২ বছরে মুস্তাফা মনোয়ার’ শিরোনামের এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান।

এ অনুষ্ঠানে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি শিল্পী ‘মুস্তাফা মনোয়ার’কে দেওয়া হলো ‘সব্যসাচী শিল্পী’ উপাধি। শিল্পীকে দেওয়া এই ‘সব্যসাচী উপাধি’ ঘোষণা করেন দেশের আরেক বরেণ্য শিল্পী মনিরুজ্জামান। শিল্পসমালোচক মঈনুদ্দীন খালেদের লেখা মানপত্র শিল্পীর হাতে তুলে দেন শিল্পী রফিকুন নবী।

শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, নাট্যজন ও সংস্কৃতিজন এবং বাংলাদেশের প্রায় সব চারুশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক এবং সুধীজন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে এ আয়োজনের শুরুতেই চারুশিল্পী সংসদের সাংস্কৃতিক বিভাগের শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ ও ‘আমি দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা’। বাকশিল্পী শিমূল মুস্তাফা আবৃত্তি করে শোনান সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’ কবিতাটি।

সবার ভালোবাসায় আপ্লুত শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার বললেন, ‘শিল্পীরা আনন্দলোকে বিচরণ করে, মঙ্গলালোকে পথ চলেন। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল আমাদের মাঝে শৈল্পিকবোধ জাগ্রত করেন। সমাজে যা ঘটবে, তা মেলে ধরাটাই শিল্পীর সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। আর আমি শিল্পের পথ ধরেই এত দিন চলেছি, সামনের দিনগুলোতেও এমনভাবেই চলতে চাই।’

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ারকে নিয়ে বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। তিনি আমার চেয়ে চার বছরের বড়। সে জন্যই আমি প্রার্থনা করি, তিনি যেন হাজার বছর আমাদের মাঝে বেঁচে থাকেন, সে সঙ্গে আমিও চার বছরের ব্যবধানে থাকতে চাই।’

শিল্পী রফিকুন নবী বিভিন্ন স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি মুস্তাফা মনোয়ারকে সবার সামনে তুলে ধরেন। আর শিল্পী নিসার হোসেন ঘোষণা দেন এখন থেকে চারুকলা অনুষদের নিজস্ব আয়োজনে দেশের বরেণ্য শিল্পীদের জন্মদিনের আনন্দানুষ্ঠানের আয়োজন করার।

প্রসঙ্গত, শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার ১৯৩৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশের যশোর জেলার মাগুরা (বর্তমান মাগুরা জেলা) মহকুমার শ্রীপুর থানার অন্তর্গত নাকোল গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। তাঁর বাবা প্রয়াত কবি গোলাম মোস্তফা এবং মায়ের নাম জমিলা খাতুন।