এসএম সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ২ দিনব্যাপী নানা আয়োজন
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। নড়াইল শহরের কুড়িগ্রামে সুলতান কমপ্লেক্স চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন বাংলাদেশের এ কিংবদন্তি শিল্পী।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ০৯-১০ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনী, আর্টক্যাম্প, শিশুদের পত্রলেখা প্রদর্শনী, পালাগান, পুতুলনাট্য প্রদর্শনী এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
দুই দিনব্যাপী আয়োজনের প্রথমদিনে সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনে শিল্পী এস এম সুলতানের প্রতিকৃতিতে অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপরে শিল্পী এসএম সুলতানের শিল্পকর্ম এবং শিশুস্বর্গের শিশুদের অঙ্কিত চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী এর উদ্বোধন করেন। পরে শিশুদের নিয়ে গ্যালারি পরিদর্শন করেন একাডেমির মহাপরিচালক। শিল্পী এসএম সুলতানের জীবদ্দশা ও তার চিত্রকর্মের নানান দিক শিশুদের তুলে ধরেন তিনি।
বিশ্ববরেণ্য শিল্পী এসএম সুলতানের ৪০টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারিতে। এ ছাড়া, শিল্পীকে নিয়ে আঁকা দেশবরেণ্য বিভিন্ন শিল্পীদের চিত্রকর্মও স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। ০৯ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী।
প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম। তিনি বলেন, আমরা সাধারণত যে ক্যানভাসে আঁকি, শিল্পী এস এম সুলতান তা আঁকতেন না। তিনি গ্রামীণ চট দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ক্যানভাস তৈরি করে ছবি আঁকতেন। নিজেই রঙ তৈরি করতেন- মাটি, গাছের ছাল-পাতা দিয়ে রঙ তৈরি করতেন।
আলোচনা সভার শুরু এবং শেষে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে একাডেমির শিশু সঙ্গীত দল। পরে প্রদর্শিত হয় শিল্পী এস এম সুলতানের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘আদম সুরত।'