শেষ দিন ঢিলেঢালা গেল বইমেলা, তেমন ছিল না উপস্থিতি-বেচাবিক্রি

Looks like you've blocked notifications!
বইমেলার শেষ দিন আজ শনিবারের বিকেল বেলা। ছবি : এনটিভি

দুই দিন বর্ধিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা শেষ হচ্ছে আজ। শনিবার (২ মার্চ) সকাল থেকে মেলা শুরু হলেও ক্রেতা-দর্শক-লেখকের তেমন আনাগোনা ছিল না। অনেকটাই ছিল ঢিলেঢালা। লিটল ম্যাগ চত্বরও বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিল প্রায় ফাঁকা। প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সময় বৃদ্ধির বিষয়টি আরও আগে ঘোষণা হলে মুখেমুখে থাকত। অন্যদিকে, বেইলি রোডের ট্রাজেডিতেও মানুষের মধ্যে শোক বিরাজ করছে। ফলে উপস্থিতি-বেচাবিক্রি অনেকটা শুরুর ১০ দিনের মতো।

সাহিত্যদেশ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শফিক সাইফুল্লাহ জানান, নানাবিধ কারণে আজ মেলায় মানুষের উপস্থিতি কম। বেইলি রোডের ঘটনায় দেশ আজ স্তম্ভিত। শোকার্ত। বিক্রির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথম ১০ দিনের গড় যেমন ছিল, আজ বিক্রি অনেকটা তেমন।’

কণ্ঠশিল্পী সোহাগ রহমত বলেন, সৃজনশীলতা কোথাও আটকে থাকে না। বইমেলা হলো কলমশিল্পীদের ও বইপোকাদের প্রাণের মেলা। সেখানে ভীড়, উপস্থিতি বিষয় না। কোন বই বেশি বিক্রি হলো, সেটিও বিষয় না। ভালো বই বোদ্ধা পাঠকের হাতে পৌঁছুচ্ছে কি না, সেটি মূখ্য বিষয়। এবার সেলফি ক্রেতার ও সেলফি দর্শকের পরিমাণ বেশিই দেখেছি। তা না হলে প্রথম সপ্তাহ বাদে যে পরিমাণ উপস্থিতি প্রতিদিনই ছিল, তাতে তিন হাজার ৭৫১টির কয়েক গুণ বই বিক্রি হওয়ার কথা।

আজ শনিবার (২ মার্চ) বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সদস্য-সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলামের পক্ষে একাডেমির প্রশাসন উপবিভাগের উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ জানান, ৬০ লাখ মানুষ মেলাতে প্রবেশ করেছে। বিক্রি হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকার মতো বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেছেন, এবারের অমর একুশে বইমেলায় তিন হাজার ৭৫১টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

চমনপ্রকাশের প্রকাশক এনাম রেজা বলেন, ঢিলেঢালায় কেটেছে শেষ দিনের মেলা। যে দৃষ্টিকোণ থেকে মেলা দুদিন বেড়েছিল, ছুটির দিনে তেমন বিক্রি হয়নি। পুরো মেলায় আমার স্টলে বিক্রির কথা বলতে গেলে গতবারের তুলনায় বেশি হলেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম।

লিটল ম্যাগ দ্বীপজ সম্পাদক সাব্বির আলম চৌধুরী জানান, গতকালও মেলায় তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। যদিও বিকেলের দিকে  কিছুটা লোকসমাগম হয়েছে।