অবশেষে টর্চার সেলে নির্যাতনকারী নওগাঁর রুহুল আমিন গ্রেপ্তার

অবশেষে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বহুল আলোচিত মিঠুন-শ্যামলী দম্পতিকে নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে ফেলা ঘটনার মূলহোতা রুহুল আমিন (৩৪) র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। মামলার ১৯ দিন পর রাজশাহী থেকে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে আজ শনিবার দুপুর ২টায় মহাদেবপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃত রুহুল আমিন মহাদেবপুর উপজেলার দক্ষিণ হোসেনপুর বোয়ালমারী মোড়ের বাসিন্দা।
আজ শনিবার দুপুরে র্যাব-৫ রাজশাহীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা গত বুধবার দিবাগত রাতে মহাদেবপুরে রুহুল আমিনের বাসা সংলগ্ন এলাকা থেকে তার অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ও নির্যাতন মামলার ২ নম্বর আসামি তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া উপজেলার আজির মোড় শাহী মসজিদ সংলগ্ন রুহুল আমিনের শ্বশুরবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, আজ শনিবার বিকেলে রুহুল আমিনকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামীনুল ইসলাম জানান, রুহুল আমিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। আজ শনিবার আদালত রিমান্ডের শুনানি করেননি। পরবর্তী দিনে রিমান্ড শুনানি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিঠুন-শ্যামলী দম্পতির নির্যাতনের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এলাকায় দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে র্যাব তাদের আটকের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। অভিযুক্ত রুহুল আমিনের বয়লারে প্রায়ই মাদক ও যৌনকর্মকাণ্ডের আসর বসতো। রুহুল আমিন তার প্রাইভেটকার ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে মাদকের চালান পৌঁছে দিতেন। এসব কাজের যে বিরোধিতা করতেন তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হতো। মাদকের আসরে জিম্মি করে অনেকের সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়া হতো বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র্যাব-৫, রাজশাহীরর ধারাবাহিক সফলতার পেছনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাংবাদিকদের কাছ থেকে আগের মতো সব সহযোগিতা কামনা করা হয়।