পদ্মাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমস্যা আজও অমীমাংসিত থেকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের নেতারা। আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে দলের ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তাঁরা এ কথা বলেন।

এর আগে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, ‘নদীর বিপন্ন দশা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী এখন প্রায় পানিহীন অবস্থায় পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই অবস্থা আরও শোচনীয়।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বিশ্ব বিবেককে পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাগ্রত করতে লংমার্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই দিন বাংলার সর্বস্তরের মানুষের বজ্রকণ্ঠ ভারতের শাসকমহলেও কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল। যার রেশ উপমহাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পৌঁছে যায়।’

নয়াপল্টনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. কামাল ভূঁইয়া। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা। বক্তব্য দেন এনডিপি ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, ঢাকা মহানগর সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বাদল দাস, শফিকুল আলম শাহীন প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘১৯৭৬ সালের এই দিনে আয়োজিত লং মার্চের মূল লক্ষ্য ছিল ফারাক্কা বাঁধ। কিন্তু, পদ্মাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমস্যা আজও অমীমাংসিত থেকে গেছে। তিস্তা নিয়ে চুক্তির নামে দীর্ঘমেয়াদী লুকোচুরি খেলা চলছে।’