গাজীপুরের কাশিমপুরে অনুষ্ঠানে অভিনয়ের জন্য ডেকে নিয়ে এক কিশোরী শিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার (গোয়েন্দা) জাকির হাসান আজ বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ লিয়াকত মার্কেট এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে শুভ (২৩), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার খৈলসিন্দু (উয়ার্শী) এলাকার সুমন মিয়া (২৭),  ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভদ্রাশন এলাকার রাসেল তালুকদার (৩৫), নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার সমসপাড়া এলাকার জহির উদ্দিন (৩২) ও রংপুরের হারাগাছ থানার গোফরটারী এলাকার সাহাবুল ওরফে আইজুল (৩৭)। তাঁরা সবাই কাশিমপুর থানার এলাকায় পৃথক জায়গায় ভাড়া থাকেন।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ওই কিশোরী (১৬) গাজীপুরে ভাড়াবাসায় থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অভিনয় ও নাচ করে বেড়াতেন। গত ৩১ জানুয়ারি রাতে একটি স্টেজ প্রোগ্রামে অভিনয়ের জন্য ওই কিশোরীর এক সহকর্মীর কাছে মোবাইল ফোনে একজন অভিনেত্রী চান জাহাঙ্গীর আলম ওরফে শুভ নামের অভিযুক্ত যুবক। এরপর শুভ ওই কিশোরী শিল্পীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে পারিশ্রমিকের আশ্বাস পেয়ে ওই কিশোরী অনুষ্ঠানে যেতে রাজি হয়।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ওই কিশোরী রাত ৮টার দিকে একটি ইজিবাইকে কাশিমপুরের হাতিমারা এলাকায় যান। সেখান থেকে জাহাঙ্গীর ও তাঁর দুই সহযোগী কিশোরীটিকে স্থানীয় সারদাগঞ্জের বর্ষাডেঙ্গা এলাকার রাসেল তালুকদারের বাড়ির একটি টিনশেড ঘরে নিয়ে যান। সেখানে জাহাঙ্গীরসহ পাঁচ যুবক ওই কিশোরী পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে কিশোরীটি সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে বাসায় ফিরে যায়। ঘটনাটি সে তার সহকর্মীকে জানায়। এ ঘটনায় আজ বুধবার ভোরে থানায় মামলা করে গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীর, সুমন, রাসেল, জহির ও আইজুলকে গ্রেপ্তার করে।

আজ গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।