অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ৩০০ রেলযাত্রী
পার্বতীপুর থেকে প্রায় তিনশ যাত্রী নিয়ে ছুটছিল উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন। গন্তব্য রাজশাহী। পৌঁছেও গিয়েছিল কাছাকাছি। এর ঠিক আগে বাঘা উপজেলার বড়াল সেতুর পাশেই ভেঙে পড়েছিল রেললাইন। তার ওপর দিয়ে গেলে ঘটতে পারত বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এরই মধ্যে স্থানীয়দের চোখে পড়ে ভাঙা রেললাইন। তাঁরা জানান গেটম্যানকে। আর গেটম্যান টাঙিয়ে দেন লাল কাপড়। এতে নিরাপদ দূরত্বে থেমে যায় ট্রেন, বেঁচে যান যাত্রীরা। আজ শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানীর স্টেশনমাস্টার সদরুল আলম জানান, পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা উত্তরা এক্সপ্রেস সামান্য বিরতি নিয়ে আড়ানী স্টেশন থেকে আজ সকালে যাত্রা শুরু করে। যাচ্ছিল রাজশাহীতে। এ সময় ট্রেনে প্রায় ৩০০ যাত্রী ছিল। উপজেলার বড়াল নদীর সেতুর পশ্চিম দিকে প্রায় নয় ইঞ্চি রেললাইনের খবর পেয়ে আড়ানী-পুঠিয়া সড়কের রেলগেটের অস্থায়ী গেটম্যান নায়েব আলী ট্রেনটিকে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।
সদরুল আলম আরও জানান, বিষয়টি রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাৎক্ষণিক মেরামতের কাজ শুরু হয়।
আড়ানী-পুঠিয়া সড়কের রেলগেটের অস্থায়ী গেটম্যান নায়েব আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আড়ানী স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামানো সম্ভব হয়। রেললাইনের ভাঙা স্থান থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে থামে ট্রেন।’
পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘সকাল ৯টা ১২ মিনিট থেকে ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত রাজশাহী-আব্দুলপুর রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে বিভিন্ন রুটের পাঁচটি ট্রেনের যাত্রা বিলম্বিত হয়। লাইন মেরামতের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’