আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে। আমরা অনেক পরিশ্রম ও সংগ্রাম করে দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছি। জনগণ কখনোই ভোটচোরদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণের ভোটেই আমরা আবারও ক্ষমতায় আসবো। কেউ ভোট চুরি করলে দেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। জনগণ তাদের গ্রহণ করে না। জনগণ ভোটচোরদের গ্রহণ করবেও না।’
আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন শেষে আয়োজিত এক জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই। আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলতে চাই না। নিজেদের যে সম্পদ আছে তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা এগিয়ে যাবো। আমরা বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবো।’
আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের এতো উন্নয়ন হচ্ছে। আগামীতেও আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসবো এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, ‘বিএনপি কখনোই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেনি। তারা ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছে। ভোট চোরদের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’
রাজধানীর মিরপুরে কালশী ফ্লাইওভার নির্মাণের ফলে জনগণের নানাবিধ সুবিধা হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজেদের উন্নয়নের জন্য ক্ষমতায় আসিনি। আমরা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি। এ ঢাকা শহর হবে একটি স্মার্ট সিটি। দেশের একটি মানুষও গৃহহীন ও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। টানা ক্ষমতায় থাকার ফলে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে পারছি। বিশ্বের যে শহরেই বাংলাদেশের নাগরিকরা যায়, তারা বিশেষ মর্যাদা পায়। বিশ্ববাসী এখন বাংলাদেশের নাগরিকদের দেখলে সমীহ করে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্বে এখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এ অবস্থায় আমাদের টিকে থাকতে হলে উৎপাদন বাড়াতে হবে।’ যার যতটুকু জমি আছে প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ইউনিট প্রতি ১২ টাকা পর্যন্ত পড়ছে। অথচ আমরা বিক্রি করছি তিন টাকা থেকে ছয় টাকার মধ্যে। বিদ্যুতে আর ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ আমাদের খাদ্য কিনতে হচ্ছে। বিশ্ববাজারে এখন খাদ্যের দাম অনেক বেশি। আমাদের উচ্চ মূল্যে খাদ্য কিনে যোগান দিতে হচ্ছে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন।