ইফতার মাহফিলে হামলার অভিযোগে ব্যারিস্টার খোকনসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ইফতার ও দোয়া মাহফিলে হামলা, ভাঙচুর ও প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২৪ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার (৯ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল বাদে মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজি মো. কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহাদিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী রবি, অ্যাডভোকেট কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদ, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দীকী সোহাগ, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ছোটন, অ্যাডভোকেট মহসিন কবির রকি, অ্যাডভোকেট ফয়সাল সিদ্দীকি, অ্যাডভোকেট সফিউল আলম সপু, অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনজুরুল আলম সুজন, ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমদ রানজিব ও অ্যাডভোকেট মো. ইসা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল বিকেলে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থীর নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উত্তর ও দক্ষিণ হলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে টেবিল এবং চেয়ার ভাঙচুর করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা কয়েকজন বহিরাগতকে নিয়ে হঠাৎ সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান এবং জামায়াতের নাম নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিলসহ প্রথমে সমিতির দুই নম্বর হলে রুমে যান। পরে, তারা এক নম্বর হল রুমে প্রবেশ করে ইফতার অনুষ্ঠানের প্রধান বিচারপতির নাম সম্বলিত সব ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় আইনজীবী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসনের চেয়ার টেবিল ভেঙে ও কাপড় উপরে ফেলে একটি অরাজক অবস্থার সৃষ্টি করে। উপরোক্ত আসামিদের বেআইনি কর্মকাণ্ডে বাধা দিত গেলে তারা সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট পানু খান ও অ্যাডভোকেট মো. শাহ নেওয়াজসহ অন্যান্য আইনজীবীদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে আহত করে।
১২ নম্বর আসামি রকিবুল ইসলাম অ্যাডভোকেট নূর আলম সিদ্দীকী সোহাগকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। এ সময় ভিক্টিম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাত মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত হয়। তখন উপরোক্ত আসামিরা সাধারণ আইনজীবীদের ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করে এবং ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সমিতির আমন্ত্রণে ইফতার অনুষ্ঠান যোগদানর জন্য সমিতির নিচ তলার সিঁড়ি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় ওঠার সময় আসামিরা তাকে গালাগাল করে এবং ৭ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী রবি ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর আসামির নির্দেশে তার দিকে পানি ভর্তি বোতল ছুঁড়ে মেরে সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণসহ ফৌজদারি অপরাধ করে।
সমিতির সাধারণ আইনজীবীরা আশঙ্কা করছেন, উপরোক্ত আসামিরা যে কোনো সময় সংগঠিত হয়ে আরও বড় কোনো অঘটন ঘটিয়ে সাধারণ আইনজীবীদের পেশাগত এ পবিত্র স্থানে ব্যাপক জানমালের ক্ষয়ক্ষতিসহ যে কোনো ধরনের বড় ক্ষতি করতে পারে।