ইসি বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২-এ স্বাক্ষর করেছেন। আজ শনিবার সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফলে এখন আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠনের পথ সুগম হলো।
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গত রোববার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ উত্থাপন করা হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করেন।
প্রস্তাবিত বিলের বিধি অনুযায়ী, যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করার জন্য ছয় সদস্যের একটি অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠনের বিধানের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবে প্রধান বিচারপতি মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিককে নিয়ে ছয় সদস্য সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
বিলে কমিটি গঠনের পর ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বরাবরে সুপারিশ পাঠানোর বিধানের প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া সার্চ কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের কাছে এ বিষয়ে নামের সুপারিশ আহ্বান করতে পারবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়।
বিলে অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণের বিধানের প্রস্তাব করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতার বিধানেরও প্রস্তাব করা হয় এ বিলে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিল উত্থাপনের দিন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদসহ অন্য সদস্যরা আপত্তি জানান। বিলের বিরোধিতা করেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরাও।
তবে উত্থাপনের চার দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয় বহুল আলোচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২।
পরে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়। আজ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সেই বিলে স্বাক্ষর করেন। ফলে বিলটি এখন থেকে আইনে পরিণত হলো। এ আইনের অধীনে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।