‘এখন গর্ব করে বলতে পারি আমার ঘর আছে’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশের ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে একটি করে ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারকে এসব ঘর দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দেশের ভূমি ও গৃহহীনদের জমি ও ঘর প্রদানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কোনো লোক গৃহহারা থাকবে না। মুজিববর্ষে আমাদের লক্ষ্য-একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। যতটুকু পারি, হয়তো আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে, তাই হয়তো সীমিত আকারে আমরা করে দিচ্ছি। তাও যাই হোক একটা ঠিকানা আমি সব মানুষের জন্য করে দেব।’
দেশের বিভিন্ন জেলায় আজ একযোগে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে এসব ঘরের চাবি ও জমির কাগজ তুলে দেওয়া হয়। আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ :
সুভাষ চৌধুরী, সাতক্ষীরা : ‘স্বপ্নেও ভাবিনি সরকারের টাকায় তৈরি দালানবাড়িতে বসবাস করতে পারব। এতদিন কাটিয়েছি পথের ধারে, বেড়িবাঁধের ধারে, অন্যের জায়গায়। এখন গর্ব করে বলতে পারছি আমার একটি ঘর আছে, আমার জমি আছে।’
মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে নতুন ঘরের কাগজপত্র হাতে পেয়ে সাতক্ষীরার ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা এভাবে তাদের অভিব্যক্তি বর্ণনা করেন।
আজ সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এসব পরিবারের হাতে জমির দলিল এবং কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়। একইভাবে জেলার অপর ছয় উপজেলা সদরেও ভূমিহীনদের হাতে কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়। এ জেলায় মোট এক হাজার ২০০ পরিবারের মধ্যে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল, বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী।
এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা : পাবনায় এক হাজার ৮৬ জন অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মধ্যে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলার সব উপজেলা পরিষদ ভবন থেকে একযোগে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জেলার গৃহহীনদের মধ্যে ঘরের চাবি ও জমির দলিলের ফাইল তুলে দেওয়া হয়।
পাবনা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে এসব ঘরের চাবি তুলে দেন পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কাজী আতিউর রহমান, ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, প্রথম পর্যায়ে জেলার ৯টি উপজেলার এক হাজার ৮৬টি পরিবার গৃহহীন আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় দুই শতাংশ জমিসহ একটি করে সেমি পাকা ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে পাবনা সদরে ৪৪৯, সাঁথিয়ায় ৩৭২, আটঘরিয়ায় ৮৫, ফরিদপুরে ৫০, ঈশ্বরদীতে ৫০, চাটমোহরে ৩০, সুজানগরে ২০, বেড়ায় ২০ এবং ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ১০টি পরিবারকে ঘর বিতরণ করা হয়েছে।
আব্দুল আজিজ শিশির, শরীয়তপুর : জেলায় ৬৯৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেল নির্মিত স্থায়ী বসতঘর। ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এসব ঘরের দলিল ও চাবি গৃহহীনদের হাতে তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে, ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিস আল হাসান।
এদিকে, দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের দাঁতপুর পশ্চিম ভাসানচর গ্রামে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘরের চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাইসহ সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় শরীয়তপুরে ৬৯৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেল ঘর। এর মধ্যে আজ ৫০০ পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে । আর বাকি ১৯৯ পরিবারকে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে দেয়া হবে।
মো. জালাল উদ্দিন, কুমিল্লা : আজ সকালে আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গৃহহীনদের ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন, ভাইস-চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েলসহ আরো অনেকে।
এ জেলায় ১৭টি উপজেলার ১৯৩টি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্প হতে প্রথম পর্যায়ে ৫৯৫টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণে বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৩৫৯টি গৃহের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ২৩৬টি গৃহের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
হাসিবুর রহমান হাসিব, কুড়িগ্রাম : এ জেলায় জমিসহ ঘর পেয়েছে এক হাজার ৫৪৯ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে তাসনিন জানান, রাজারহাটে রানা প্লাজায় নিহত রুবিনার পরিবারসহ ৭০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আধাপাকা ঘরসহ জমি দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর জেলার ৯ উপজেলায় এক হাজার ৫৪৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে নিজ নিজ উপজেলা থেকে আধাপাকা ঘর ও জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। যারা বাদ পড়েছেন পরবর্তীতে তারাও ঘর পাবেন।
জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, জেলার সদর উপজেলায় ২০০ , রাজারহাটে ৭০, ফুলবাড়ীতে ১৬৫, নাগেশ্বরীতে ২৬৪, ভুরুঙ্গামারীতে ২০০, উলিপুরে ২০০, চিলমারীতে ১০০, রৌমারীতে ৫০ ও চররাজিবপুর উপজেলায় ৩০০ পরিবারকে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়ে।
আবু তাহের মুহাম্মদ, খাগড়াছড়ি : এ জেলায় ২৬৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পেয়েছে। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরই সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে ভূমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেয় উপজেলা প্রশাসন। সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য কুজন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা মতিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলায় প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৩৫টি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভূমির দলিল ও চাবি তুলে দেন সংসদ সদস্য।
এছাড়া একইসঙ্গে জেলার দিঘীনালায় ৩০টি, মহালছড়িতে ১৫টি, মাটিরাঙায় ২৬টি, পানছড়িতে ৫৫টি, রামগড়ে ২২টি, গুইমারায় ১০টি, মানিকছড়িতে ৫৫টি ও লক্ষ্মীছড়িতে ২০টিসহ ২৩৩টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে চাবি হস্তান্তর করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঈনউদ্দিন সুমন, মুন্সীগঞ্জ : জেলার ৬টি উপজেলার ৫০৮ পরিবারকে জমি ও সেমিপাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের পরপরই মালিকদের জমির দলিলসহ ঘর বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম গজারিয়া, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, সদর উপজেলায় ১০০টি, গজারিয়া উপজেলায় ১৫০টি, লৌহজং উপজেলায় ১৪৩টি, সিরাজদিখান উপজেলায় ২৫টি, টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় ২০টি, শ্রীনগর উপজেলায় ৭০টি পরিবার এ জমি ও ঘর পেয়েছেন । 'ক' শ্রেণির পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ভূমিহীন, গৃহহীন ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ৫০৮ পরিবার দুই শতাংশ জমি ও দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর দেওয়া হল।
রশিদ আল মুনান, পিরোজপুর : জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জন ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ঘরের দলিল ও চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলার সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ঘরের জমির দলিল ও চাবি তুলে দিয়েছেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল, সহসভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির, প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনিরুজ্জামান নাসিম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসানসহ সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতারা ও জনপ্রতিনিধি এবং যারা ঘর পেয়েছেন।
প্রথম ধাপে নির্মিত ৩৭৫ জন ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। এর মধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৩৫, নাজিরপুরে ৫৫, নেছারাবাদে ৭৫, ভাণ্ডারিয়ায় ৪৫, ইন্দুরকানিতে ৭৫,কাউখালীতে ৫০ এবং মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৪০টি ঘর ও দলিল হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে নির্মানাধীন বাকি ৮০০ ঘর পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।
দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, সুনামগঞ্জ : জেলার ১১ উপজেলার ৪০৭টি গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘরের দলিল ও চাবি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ফজলুল কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরীফুল ইসলাম, সদর উপজেলা কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল মোমেন, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, আবুল হোসেন প্রমুখ।
কাকন রেজা, শেরপুর : জেলায় জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছে ২৯১টি গৃহহীন পরিবার। এ উপলক্ষে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভূমি ও গৃহহীনদের মধ্যে এসব ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, স্থানীয় সরকার বিভাগে উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ আল মামুন।
বিশ্বজিৎ সাহা, নরসিংদী : জেলার ২২১ গৃহহীন পরিবার নতুন ঘর উপহার পেল। আশ্রয়ণ দুই প্রকল্পের অধীনে নরসিংদী সদর উপজেলায় ৪টি, শিবপুর উপজেলায় ৪২টি, পলাশ উপজেলায় ২৫টি, মনোহরদীতে ৪৫টি, রায়পুরায় ৩৫টি এবং বেলাব উপজেলায় ৭০টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে এসব ঘর বিতরণ করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিয়া আক্তার শিমু, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াষিস রায়, নবনির্বাচিত পৌর মেয়র আমিনুর রশিদ সুজনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
কে এম সবুজ, ঝালকাঠি : জেলায় ভূমি ও গৃহহীন ২৩০টি পরিবারকে আজ ঘর বুঝে দেওয়া হয়েছে। আজ জেলার সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপকারভোগীদের হাতে জমি ও ঘরের দলিল এবং চাবি হস্তান্তর করা হয়। ঘরের চাবি পেয়ে খুশিতে অনেক পরিবার মালামাল নিয়ে ঘরে ওঠে। দুপুর থেকেই তাঁরা ঘরে বসবাস শুরু করে। এছাড়া কর্মসূচির আওতায় ঝালকাঠি জেলায় আরও ২৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে। ঘরগুলো বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, পৌরসভার মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
শাহজাহান সিরাজ মিঠু, জয়পুরহাট : জেলার পাঁচটি উপজেলার ১৬০টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের উপস্থিতিতে সদর উপজেলার ৪৬টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এ ছাড়া একই সময়ে জেলার বাকি চার উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ১১৪টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।
মাহবুব হোসেন সারমাত, গোপালগঞ্জ : জেলায় ভূমি ও গৃহহীনদের মধ্যে ৭৮৭টি ঘর ও জমিল দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জেলার পাঁচ উপজেলায় পৃথকভাবে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৮০, কাশিয়ানীতে ২০০, মুকসুদপুরে ৫০, কোটালীপাড়ায় ৩০ এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ২৭টি মিলে মোট ৭৮৭টি ঘর হস্তান্তর করা হয়।
ওছমান হারুন মাহমুদ, ফেনী : জেলার ভূমি ও গৃহহীন ৪০টি পরিবারকে ঘর বুঝে দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে হল রুমে ৪০টি পরিবারের মধ্যে জমিল দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈনুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম ধাপে সদর উপজেলার ধর্মপুরে ইউনিয়নে ৩৫টি, ফরহাদ নগর ইউনিয়নে পাঁচটি ঘর উপহার দেওয়া হয়।
শহীদুল হুদা অলক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : জেলার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের সল্লা গ্রামে ৩৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দীন আহম্মেদ শিমুল, ফেরদৌসী ইসলাম জেসি, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ন কবীর খোন্দকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মইনুদ্দীন মণ্ডল, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা পরিবেশিত হয়।
মো.আক্তারুজ্জামান রঞ্জন, আশুগঞ্জ (ব্যহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ১৫টি গৃহহীন পরিবারকে জমিল দলিল ও ঘরের চাবি বুঝে দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজা পারভীন, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, আড়াইসিধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম মিয়া, শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈফ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, সমাজসেবা কর্মকর্তা সৈয়দ রাফি উদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবদুল মাবুদ, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর পাওয়ায় উপকারভোগীদের মধ্যে এক প্রকার ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে। উপকারভোগী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, 'আমার স্বামী দিনমজুরের কাজ করেন। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করে অন্যের বাড়িতে থাকতাম। ঘর পাওয়ায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারব।
তাঁর মতো অনেকেই ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) ফিরোজা পারভীন জানান, মোট ৬৮টি ঘরের মধ্যে ১৫টির কাজ শেষ হওয়ায় আজ তাদের হাতে দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৩টি ঘর আগামী এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে তুলে দেওয়া হবে।
সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর : জেলায় ৯টি উপজেলার গৃহহীনদের জন্য তৈরি ১৪৮০টি ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পরই ফরিদপুরের সদর উপজেলার হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সদর উপজেলার গৃহহীনের মধ্যে ঘরের চাবি ও জমির দলিল তুলে দেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা, উপজেলা প্রকৌশলী আজাহারুল ইসলামসহ সরকারি কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, ঘরের সুবিধাভোগীরা। একইসঙ্গে জেলার প্রতিটি উপজেলায় গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের ঘর।
এ সময় ঘর পেয়ে অবেগে আপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানায় উপকারভোগীরা।