করোনা টিকার নিবন্ধন করলে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন ছাত্রলীগের সৈকত
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/08/04/soikot-1.jpg)
করোনাভাইরাসের টিকার নিবন্ধন করলেই মিলছে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে এ নিবন্ধন কার্যক্রম। গত ১৯ জুলাই থেকে টিকার জন্য নিবন্ধন ও খাদ্যসামগ্রী প্রদান কর্মসূচি শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
এ নিবন্ধন কেন্দ্রে কেউ টিকার জন্য নিবন্ধন করলে তিনবার বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তানভীর হাসান সৈকত। নিবন্ধন সম্পন্ন করলে পরের দিন প্রথম খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এরপর প্রথম ডোজ নেওয়ার পর টিকা কার্ড দেখালে আরেকবার এবং দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করলে তৃতীয় দফা খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস।
গত বছরের লকডাউনে টানা ১২১ দিন টিএসসি এলাকায় মানুষের দুই বেলা খাবার কার্যক্রম পরিচালনা করে জাতিসংঘ থেকে ‘রিয়েল লাইফ হিরো’ স্বীকৃতি পান তানভীর হাসান সৈকত’।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/08/04/soikot-2.jpg)
তানভীর হাসান সৈকত এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘করোনার শুরু থেকেই আমরা সাধারণ মানুষ নিয়ে কাজ করি। কাজ করতে গিয়ে দেখি তাদের মধ্যে সচেতনতার যেমন অভাব রয়েছে, তেমনই করোনার টিকা নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তমূলক ধারণা।’
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেন, তখনো ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের এসব মানুষ টিকা নেওয়ার বিষয়ে উদাসীন। তাই এ জনশক্তিকে টিকার আওতায় এনে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে আমাদের এ ক্ষুদ্র চেষ্টা।’
সৈকত আরও বলেন, ‘আমরা তাদেরকে করোনার টিকার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা বুঝিয়ে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করছি। এসব নিম্ন আয়ের মানুষ টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করলে আমরা তাদেরকে প্রথম দফায় খাদ্যসামগ্রী দিয়ে দিচ্ছি। এরপর যখন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিচ্ছে তখনো আমরা তাদের খাদ্যসামগী দিচ্ছি।’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/08/04/soikot-3.jpg)
এখন পর্যন্ত কতজনকে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন জানতে চাইলে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘আজ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার জনের রেজিস্ট্রেশন করেছি এবং ৭০০ জনকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি।’
গত বছর লকডাউন ঘোষণার পর টানা ১২১ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ভাসমান মানুষদের মধ্যে রান্না করা খাবার দিয়েছিলেন সৈকত ও তাঁর বন্ধুরা। এরপর সুনামগঞ্জের বেদেপল্লি ও গুচ্ছগ্রামে ২৩ দিন দুই বেলা খাবার বিতরণ করেন সৈকত ও তাঁর বন্ধুরা। এরপর গত রমজান মাসেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সেহেরি কার্যক্রমে খাবার রান্না ও বিতরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন সৈকত। চালু করা হয় শিশু খাদ্য কার্যক্রম।
এরপর চলতি বছর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও অতিমাত্রায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচরে অসংখ্য পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ঢালচরে ছয় পরিবারের ভিটায় নিজেরা মাটি কেটে ঘর তুলে দেন। ১০০ পরিবারের কাছে চাল, ডাল, তেল, শুকনা খাবার, সেলাইন ও খাবার বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ উপহার পৌঁছে দেন সৈকতের বন্ধুরা।
লক্ষ্মীপুরের ছেলে সৈকত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ছেন। তিনি ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে গত ডাকসু নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।