কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বাদলের চার অনুসারী গুলিবিদ্ধ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার দুপর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বাদলের অনুসারী চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, গুলিবিদ্ধরা হলেন চরকাঁকড়া ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সদস্য ফখরুল ইসলাম সবুজ (৫৫), তাঁর ছেলে চয়ন (২০) ও সবুজের ভাগিনা আরিয়ান (২৩), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের রূপনগর গ্রামের বাসিন্দা হৃদয় (২৮)।
স্থানীয়রা জানায়, আজ সকালে প্রতিপক্ষের লোকেরা মিজানুর রহমান বাদল ও আলালের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে বাদলের অনুসারীরা চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজার, বসুরহাট ও পেশকারহাটে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
এ সময় পুলিশ এসে তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে। তারপর পুলিশ আওয়ামী লীগনেতা সবুজকে মারধর করলে তাঁর অনুসারীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
বাদলের ওপর হামলার পর সকাল থেকে এ ঘটনায় উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় কাদের মির্জার বিচার দাবি করে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে অনুসারীরা। বিক্ষোভ থেকে বাদলের অনুসারীরা মেয়র কাদের মির্জার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ‘রাস্তায় পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে।’ তবে এ ঘটনায় কতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে তা স্পষ্টভাবে এখনও জানা যায়নি। তবে তারা রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়ায় পুলিশ সরাতে গেলে গাড়ি ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ শটগানের ২০ থেকে ২২টি গুলি নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ইট-পাটকেলের আঘাতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।’
আজ শনিবার সকালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলালসহ ঢাকার যাওয়ার জন্য বসুরহাট হয়ে রওনা দেন। এ সময় তাঁর পথরোধ করে অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মঞ্জু অভিযোগ করেন, ‘হামলাকারীরা প্রথমে বাদলের গাড়ির পেছনে গুলি করে। এক পর্যায়ে গাড়ির গতিরোধ করে তাঁকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত-মাথা ফাটিয়ে দেয়, পা ও বুকের হাড় ভেঙে দেয় এবং কানে গুরুতর জখম করে।’