যশোরে বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলা-গুলিবর্ষণ, আটক ২
যশোরের শার্শা উপজেলার দাউদখালী গ্রামে বিএনপির দুই কর্মীকে পিটিয়ে জখম ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গ্রামবাসী প্রতিহত করতে গেলে দুর্বৃত্তরা আরও গুলি চালায়। পরে ধাওয়া করে দুজন সন্ত্রাসীকে আটক করে গ্রামবাসী, যাদের পরে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার দাউদখালী গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দাউদখালী গ্রামের নিকিরি পাড়ার আওয়ামী লীগনেতা আব্দুল কাদেরসহ কয়েকটি পরিবারকে শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আলী বিশ্বাস দলীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ায় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। তারা ঘোষণা দেন, ওই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির কোনো কার্যক্রমে থাকতে পারবেন না। ত্যাগী নেতাকর্মীদের এই ঘোষণার জেরে ক্ষুব্ধ হন বিএনপিনেতা কুদ্দুস আলী বিশ্বাস।
পরে কুদ্দুস আলী বিশ্বাসের নির্দেশে গোগা ইউনিয়নের পাঁচ ভুলোট গ্রামের সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপিনেতা আজিবর বদ্দীর ছেলে সাজুবদ্দিসহ ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দাউদখালী গ্রামে হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীরা প্রথমে জাহান আলী ধাবকের ছেলে আলী হোসেনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। তাকে বাঁচাতে তার ভাই জাকির হোসেন এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুললে সন্ত্রাসী সাজুবদ্দি পিস্তল বের করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা আরও কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
এ সময় গ্রামবাসীরা ধাওয়া করে ইমরান হোসেন (৩৪) ও আরিফ পারভেজ (২৩) নামে দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক ইমরান হোসেন উপজেলার কালীয়ানী গ্রামের বাসিন্দা এবং আরিফ পারভেজ পাঁচভুলোট গ্রামের বাসিন্দা।
পরে আটকদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি গুলির খোসাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
যশোরের নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি হামলাকারীদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মহসিন মিলন, বেনাপোল