বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করছে। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

শোভাযাত্রাটি বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হয়। মালিবাগ ও ফকিরাপুল মোড় ঘুরে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করে এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) বলেন, আমরা না কি সন্ত্রাস করতে চাই। অথচ, সন্ত্রাস যদি এদেশে কেউ করে থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগ করেছে। আর এই আওয়ামী লীগ আবার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।’ 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকারের কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। সরকার উসকানি দিচ্ছে, মিথ্যাচার করছে এবং ইতিহাস বিকৃত করে কথা বলছে। তাই সরকারের উসকানিতে আপনারা পা দেবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব।’ 

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা বিভাগীয় ১০টি সমাবেশে প্রমাণ করেছি—আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। এই ১০টি সমাবেশের কোনো জায়গায় অরাজকতা এবং বিশৃঙ্খলা হয়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমরা না কি বিশৃঙ্খলা করার জন্য সমাবেশ করি।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই সরকারকে দেশের মানুষ চায় না, এটা তারা বুঝতে পেরেছে। আমাদের বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছে দেশের মানুষ। বুঝতে পেরে এখন তারা দিশেহারা হয়ে নানা রকম কথাবার্তা বলছেন। আর সরকার যখন দেখছে যে তাদের দিন শেষ, তখন দেশে ও বিদেশের মানুষকে প্রতারিত করতে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।’ 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘মহা একটি সংকটের মধ্য দিয়ে সময় অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায়, তারা ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখাতে এই সংকট সৃষ্টি করেছে। এই সরকার আজকে দেশে ও বিদেশে একটা অগণতান্ত্রিক, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত।’ 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে, আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এবং আমাদের বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

শোভাযাত্রায় বিএনপিনেতা ড. মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমদ আযম খান, আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, নাজিম উদ্দিন আলম, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।