গরুর ট্রলারে ডাকাতি, পালানোর সময় গ্রেপ্তার ৭
পদ্মায় গরুর ট্রলারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করে পালানোর সময় স্পিড বোটে থাকা ডাকাতদের প্রায় ৮০ কিলোমিটার নৌপথে ধাওয়া করে মুন্সীগঞ্জ সদরে এসে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌপুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ডাকাতদলের কাছ থেকে অস্ত্র ছাড়াও গুলি, নগদ ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা ও একটি স্পিডবোট জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে এপর্যন্ত এবাদুল (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩০), মহসিন (৩০) সহ তিন জনের নাম শনাক্ত করা গেছে।
নৌপুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে আন্তজেলা ডাকাত দলের ২০ সদস্য ডাকাতির পরিকল্পনা করে। পরে মুন্সীগঞ্জে মাওয়া ঘাট থেকে একটি ২০০ হর্সপাওয়ারের স্পিডবোট নিয়ে আরিচা ঘাটে রওনা হয়। আরিচা ঘাটে ২টা ৫০এর দিকে পৌঁছে একটি গরুর ট্রলারে ডাকাতি করে। ডাকাতের খবর পেয়ে মাঝিরঘাট ও মাওয়া নৌ পুলিশ ডাকাতদের ধাওয়া করে। ডাকাতরা মাওয়ার দিকে এলে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়। এরপর তারা পথ পরিবর্তন করে কালিরচরের শাখা নদী ব্যবহার করে মেঘনা নদীতে চলে আসে।’
পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘পরে মেঘনা নদী থেকে মুন্সীগঞ্জের ভেতর খাল হয়ে ঢুকে যায়। পরে বাঘাইকান্দি পৌঁছে তারা স্পিডবোট রেখে গ্রামে ঢুকে পড়ে। এ সময় অভিযান চালিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
এদিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন বলেন, ‘চারটি পাইপগান, দেশিয় অস্ত্র, ১১ রাউন্ড গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোট জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে দুই ধাপে ৩৩ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোট জড়িত ২০ জনের মধ্যে বাকি ১৩ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলাচ্ছে পুলিশ।’

মঈনউদ্দিন সুমন, মুন্সীগঞ্জ