গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনের গেজেট বাতিল চেয়ে নৌকার পরাজিত প্রার্থীর মামলা
ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট বাতিল চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন নৌকার পরাজিত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম হবি।
গত ৪ মার্চ ময়মনসিংহের যুগ্ম জেলা জজ প্রথম ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই মামলা করা হয়।
মামলায় বিজয়ী মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে মূল প্রতিপক্ষ এবং ময়মনসিংহের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমানসহ ১১ জনকে মোকাবিলা প্রতিপক্ষ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গৌরীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার, ময়মনসিংহের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান ও আপিল কর্তৃপক্ষ গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপর পাঁচ পরাজিত মেয়র পদপ্রার্থী।
আদালত মামলাটি নিয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দাখিলের জন্য নোটিশ দিয়েছেন। মামলার আইনজীবী গোলাম মোস্তফা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম তাঁর ভাই সৈয়দ মাজহারুল ইসলামের সৈয়দ ফার্নিচার মার্টের শেয়ারের মালিক। ব্যবসা বাড়াতে যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তি গৌরীপুর বাজার শাখা সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে বন্ধক রেখে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ঋণ নেন। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর হলফনামায় নিজেকে ঋণখেলাপি উল্লেখ না করে হলফনামা দাখিল করেন।
২ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক নুরজাহান আখতার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে ঋণ খেলাপি হিসেবে পত্র দিয়েছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ৩ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম সৈয়দ রফিকুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে ৪ জানুয়ারি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহের সাবেক জেলা প্রশাসক ও গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনের আপিল কর্তৃপক্ষ বরাবর (০৭/২১) আপিল দাখিল করলে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন অনাদায়ী ঋণের জন্য সৈয়দ রফিকুল ইসলামের অনাদায়ী ঋণের বিষয়ে জেলা আপিল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসককে তথ্য গোপন ও প্রভাবিত করে নিজেকে ঋণখেলাপি নয় বলে দেখাতে সমর্থ হন। নচেৎ সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মেয়র পদে থাকার যোগ্য প্রার্থী ছিলেন না। অর্থাৎ সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমাদানের তারিখে ঋণখেলাপি ছিলেন এবং তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ছিল না। ফলে অবৈধ মনোনয়নপত্র মূলে সৈয়দ রফিকুল ইসলামের গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন, অর্জিত ফলাফল বেআইনি দাবি করা হয়েছে এবং সেই নির্বাচনি ফলাফল বাতিল করে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপর বৈধ মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে বেশি ভোট পাওয়া শফিকুল ইসলাম হবিকে মেয়র নির্বাচিত ঘোষণার দাবি করা হয়েছে।