মিশ্রিত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রতি ঘনফুট ২০.৩৫ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে পেট্রোবাংলা। কিন্তু, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এতে একমত পোষণ করেনি। বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি মনে করছে—এ গ্যাসের সরবরাহ ব্যায় দাঁড়াবে ১২.৪৭ টাকায়।

এ ছাড়া কারিগরি কমিটি তার মূল্যায়ন প্রতিবেদনে পেট্রোবাংলাকে অনুদান দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

বিইআরসির গণশুনানিতে এমন তথ্য তুলে ধরেন বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক পরিচালক (গ্যাস) দিদারুল আলম।

রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে আজ সোমবার গণশুনানি গ্রহণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে শুনানি গ্রহণে উপস্থিত ছিলেন সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আবু ফারুক ও মো. কামরুজ্জামান।

বিইআরসি’র চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল উদ্‌বোধনী বক্তৃতায় বলেন, ‘বিইআরসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যহার নির্ধারণ করে আসছে। কমিশন হচ্ছে আধা-বিচারিক ব্যবস্থা। এখানে যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়।’

সবশেষ ২০১৯ সালের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশে পাইকারি দর প্রতি ঘনমিটার ১২.৬০ টাকা করা হয়। এর মধ্যে ইউনিটপ্রতি ভর্তূকি দিয়ে ৯.৩৭ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয় বিইআরসি। পেট্রোবাংলা বলছে—চলতি বছরে গ্যাসের সরবরাহ ব্যয় দাঁড়াবে ১৫.৩০ টাকা। এ কারণে ভোক্তা পর্যায়ে দাম ২০.৩৫ টাকা করার দাবি করেছে পেট্রোবাংলা। তবে, কারিগরি কমিটি পেট্রোবাংলার তথ্যের সঙ্গে একমত হতে পারছে না। তারা মনে করছে—মিশ্রিত গ্যাসের সরবরাহ ব্যয় দাড়াবে ১২.৪৭ টাকা।