চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি গ্রেপ্তার
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও অভিযোগপত্রভুক্ত এক নম্বর আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর বাসা থেকে দুই নারীকেও আটক করা হয়।
এ ছাড়া আশীষ রায়ের বাসা থেকে বিপুল বিদেশি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
আজ ভোরে র্যাবের অভিযানে থাকা একাধিক কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
তবে, আটক করা দুই নারীর পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কালো কাচ ও সাদা একটি গাড়িতে করে তাঁদের র্যাব সদর দপ্তরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ি নম্বর ঢাকা মেট্রো চ-৫৩৪৬৫১। এ বহরে আরও তিনটি মাইক্রোবাস ছাড়াও র্যাবের একাধিক গাড়ি ছিল। এর আগে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় আশীষ রায় চৌধুরীর বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব।
অভিযান শেষে র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আশীষ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৮ তারিখে ওয়ারেন্ট জারি হয়। তিনি এখানে আত্মগোপন করে ছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্য এখানে ছিল না।’
র্যাবের কাছে সোহেল চৌধুরী হত্যা নিয়ে অনেক তথ্যও আছে উল্লেখ করে র্যাবের মুখপাত্র আরও বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত বুধবার দুপুর ১টায় গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
খন্দকার আল মঈন জানান, অভিযান চলাকালীন ২৩ বোতল মদ পেয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া এ সময় তাঁরা দুই নারীকেও আটক করেন। ওই দুজনের সঙ্গে আশীষ চৌধুরীর কী সম্পর্ক, তা জানার সেটার জানার জন্য জেরা করা হবে বলেও জানান তিনি।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, আশীষ চৌধুরীকে যে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা তাঁর নামে নয়, একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নামে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেটা আশীষ চৌধুরি নেননি। ওই বাসায় একাধিক নারীর যাতায়াত ছিল বলে জানা গেছে।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তাঁর বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।