এভারকেয়ার হাসপাতালে ওসমান হাদি
গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান এই তথ্য জানিয়েছেন।
হাদিকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে বের হয়ে এভারকেয়ারের দিকে রওনা হয়। পরে রাত ৮টা ৫ মিনিটের দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছায়।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গুলিবিদ্ধ শরীফ ওসমান হাদির অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে সাঈদ হাসান বলেন, ওসমানের মাথার ভেতরে গুলি পাওয়া যায়নি। গুলি এক পাশে ঢুকে আরেক পাশ থেকে বের হয়ে গেছে। মস্তিষ্কে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং খুলির ছোট ছোট টুকরা মস্তিষ্কের ভেতরে রয়ে গেছে। চিকিৎসকরা খুলি সরিয়ে রক্ত বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি সবার কাছে দেওয়া চেয়েছেন।
এদিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে আপ বাংলাদেশের নেতা রাফে সালমান রিফাত বলেন, হাদি ভাইয়ের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারের জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে অবস্থা স্টেবল হলে। এখনো নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন ভাই। সবাই দোয়া করুন খাস করে।
আজ দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে একটি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা এসে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় শরিফ ওসমান হাদির পেছনের রিকশায় ছিলেন মো. রাফি। তিনি ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে আমরা রিকশায় করে হাইকোর্টের দিকে আসছিলাম। বিজয়নগর আসতেই একটা মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে হাদি ভাইয়ের ওপর গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।’
এদিকে ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে ওসমান হাদিকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী মির্জা আব্বাস, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসলিম জারা, দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক