জামালপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও যান চলাচল। শিলা বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নষ্ট হয়ে গেছে বিভিন্ন ফসল ও শাকসবজির ক্ষেত। আজ মঙ্গলবার ভোরে কালবৈশাখী ঝড় এই তাণ্ডব চালায়। 

কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে শহরের আমলাপাড়া এলাকায় প্রধান সড়কের উপর গাছ ও দুটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে যায় শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। আজ ভোর ৫টায় শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড় ১৫ মিনিট ধরে এই তাণ্ডব চালায়। বেলা ১১টার দিকে শহরের অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আমলাপাড়া ও এর আশপাশের এলাকায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া জামালপুর সদর উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ভোররাতে শরীফপুর ইউনিয়নের বেড়া পাথালিয়া, রঘুনাথপুর, বেপারিপাড়া, শ্রীরামপুর ও গোদাশিমলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড় কবলিত এলাকায় রাস্তার উপর গাছপালা পড়ে যোগাযোগের বিঘ্ন ঘটছে, বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রবল বাতাসের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের কাঁচা, আধা-পাকা ধান, সবজি, লিচু ও আম বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসন ঝড়কবলিত এলাকায় কাজ করছে। বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে ঝড়ের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে।