রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা জাল টাকার মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া, তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এই আদেশ দেন। বিষয়টি আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।

সরকারি কৌঁসুলি বলেন, পাপিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৭৯ (সি) ধারায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। মামলার অপর দুই আসামি হলেন সুমনের ব্যক্তিগত সহকারী সাব্বির খন্দকার (২৯) ও পাপিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শেখ তায়িবা নূর (২২)।

পিপি আরও বলেন, আজ পাপিয়াসহ চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁদের আইনজীবী এই মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।

এ সময় পাপিয়াসহ চারজনকে দোষী কিংবা নির্দোষ প্রশ্ন করা হলে, তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

এরপর বিচারক আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লি যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী (৩৮) ও ব্যক্তিগত সহকারী সাব্বির খন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরে তাঁদের তথ্যমতে, হোটেল ওয়েস্টিন থেকে পাপিয়া ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী শেখ তায়িবাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ফার্মগেটের বাসা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০টি পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় পাপিয়া, তাঁর স্বামী ও দুজনের ব্যক্তিগত সহযোগীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়। মামলার পর তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাঁরা এখন কারাগারে রয়েছেন।