টিপু হত্যার অস্ত্র উদ্ধার : ৫ জন রিমান্ডে

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও সামিয়া আফরান প্রীতিকে গুলি করে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় পাঁচ জনের তিন দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম এই আদেশ দেন। এ মামলার আসামিরা হলেন, শামীম হোসাইন ওরফে মোল্লা শামীম (৩৫), তৌফিক হাসান ওরফে বাবু (৩৪), সুমন হোসেন (৩৫), এহতোশাম উদ্দিন চৌধুরী অপু (৩৭) ও শরিফুল ইসলাম হৃদয় (২৭)।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মজিবুর রহমান রাজধানীর খিলগাঁও থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট মোল্লা শামীম বেনাপোল হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে দক্ষিণ গোড়ান থেকে শরিফুল ইসলাম ওরফে হৃদয়কে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি বিদেশি পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। বাবুর তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি দক্ষিণ গোড়ান হতে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর খিলগাঁও থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
এরপর, গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন।
হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণীতে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানার ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনের বাটার শো-রুমের সামনে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা হামলা করেন। তারা আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি করেন।’