ডেঙ্গুতে কতজন মারা গেছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
চলতি বছর সারা দেশে ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত কতজন মারা গেছেন, সে সংখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
শুনানিকালে আদালত বলেন, ডেঙ্গু নিধনে দুই সিটির কোনো কৃতিত্ব নেই। সময়ের ব্যবধানে এমনিতে ডেঙ্গু প্রকোপ কমেছে।
আদালতে সিটি করপোরেশন পক্ষের আইনজীবী তৌফিক এনাম টিপু বলেন, ‘ডেঙ্গু এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মশার ওষুধ পর্যাপ্তভাবে ছিটানো হয়েছে।’
এ সময় আদালত বলেন, ‘এ জন্য আপনাদের কোনো কৃতিত্ব নেই। এখন সিজন (ডেঙ্গুর মৌসুম) শেষ, এ কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে গেছে। বরং মিডিয়াকে ধন্যবাদ দিতে হয়। কারণ, তাদের কল্যাণে মানুষ জানার সুযোগ পেয়েছে, সচেতন হয়েছে।’ পরে আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে আগামী ১১ নভেম্বর এ তথ্য জানাতে বলেন।
একই সঙ্গে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে এফিডেভিট আকারে এডিস মশা নির্মূলের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই দিন আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন।
আজ বুধবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান।
গত ২৮ আগস্ট ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপকভাবে ওষুধ ছিটানো ও অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদক