ঢাকা-যশোর রেলপথের অগ্রগতি ৬১ ভাগ : রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ঢাকা-ভাঙ্গা হয়ে যশোর রেল সংযোগ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬১ ভাগ। ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজের শেষ সময় নির্ধারণ করা আছে। প্রকল্পটি সময়মতো বাস্তবায়ন করতে তিনটি ভাগে কাজ করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় আজ শুক্রবার দুপুরে পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনায় ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত একটি অংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত একটি অংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত একটি অংশ। এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে ৬৪.০৮ ভাগ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮০.০২ ভাগ এগিয়েছে, ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৯১ ভাগ কাজ এগিয়েছে৷ পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা সেতু অতিক্রম করে রেললাইন কানেক্ট করা। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
চলতি মাসেই আবারও পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু করার আশা ব্যক্ত করে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বড় ধরনের একটি বাধা ছিল ব্রিজের ওপর কাজ করার। আগামীকাল সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের বৈঠক আছে। আশা করছি এই মাসে কিংবা এই সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিজের ওপর কাজ করার অনুমতি আমরা পাব।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু ও রেলসংযোগ প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু হলে ৬ মাস সময় লাগবে। এসময় আমরা মনিটর করবো ভাইব্রেশনে (সড়ক পথে যানচলাচলের) কোন প্রভাব আছে কি না। এজন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেল নিয়োগ করা হয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নকশা অনুযায়ী ভাইব্রেশনের কোনো প্রভাব থাকবে না। পরীক্ষা করে আমরা দেখব যে, আসলে কোন প্রভাব আছে কি না।
সেতুতে রেলের কাজের সময় ছয় মাস সড়কপথে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কি না, এমন প্রশ্নে এফ এম জাহিদ হোসেন বলেন, সেটা নেই। তবে কতগুলো অপশন থাকতে পারে, যদি ভাইব্রেশন বেশি হয় প্রয়োজন হলে গাড়ির গতিসীমা স্লো করা যেতে পারে। অল্প সময়ের জন্য ট্রাফিক বন্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে। এ বিষয়টি পরামর্শক দলের সাথে কথা বলে নির্ধারণ করা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কালাম আজাদ প্রমুখ।