ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তকরণে একমত ভারত-থাইল্যান্ড
ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক প্রকল্পে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভারত ও থাইল্যান্ড সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তবে, মিয়ানমার এখনও এ বিষয়ে মতামত জানায়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থাইল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন’ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র সচিব এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা এই ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে যোগ দিতে আমাদের আগ্রহ দেখিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে ভারতীয় এবং থাইদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা এটিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রশ্ন হলো—মিয়ানমার কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। কারণ, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এই বিষয়ে জড়িত করার সুযোগ পাইনি।’
বৈঠকে মহাসড়ক সংযোগ ছাড়াও বিমান ও সামুদ্রিক যোগাযোগের সমস্যাগুলো আলোচনা করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকা-ব্যাংকক রুটে সাপ্তাহিক ৩৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ বাড়াতে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য প্রস্তুত।’
এর আগে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব সারুন চারোয়েনসুওয়ানের নেতৃত্বে একটি থাই প্রতিনিধিদল থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা ও অন্বেষণ করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করে।
থাইল্যান্ডকে একটি সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্পর্কের সম্ভাবনা দেখেছি এবং আমরা বিশ্বাস করি, যদিও বর্তমান বাণিজ্যের মাত্রা প্রায় এক বিলিয়নের কিছু বেশি, তবে অদূর ভবিষ্যতে এটি সহজেই দ্বিগুণ হতে পারে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশে ব্যবসা করার সুযোগ ও প্রয়োজনীয় শর্ত তৈরি করতে সরকার কাজ করছে।’
এদিকে, থাই পররাষ্ট্র সচিব সারুন চারোয়েনসুওয়ান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশ আগামী বছরগুলোতে এলডিসি থেকে উন্নীত হতে চলেছে, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুব খুশি। কারণ, আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরকে সমর্থন করার সম্ভাবনার দিক দেখতে পাচ্ছি।’