নলছিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলট্রাসনোগ্রাফি ও ডিজিটাল এক্স-রে চালু
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলট্রাসনোগ্রাফি, ডিজিটাল এক্স-রে ও জিন এক্সপার্ট মেশিন চালু করা হয়েছে। গতকাল সোমবার আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন এবং গত পহেলা জুলাই ডিজিটাল এক্স-রে ও জিন এক্সপার্ট মেশিন দুটি চালু করা হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন আধুনিক মেশিনে রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম চলছে। ফলে রোগীদের আর পরীক্ষার জন্য ক্লিনিকে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে না। অল্প খরচেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হবে আলট্রাসনোগ্রাফি, ডিজিটাল এক্স-রে ও যক্ষ্মার জীবাণু শনাক্তকরণ।
দীর্ঘদিন নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে আলট্রাসনোগ্রাফি ও ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন ছিল না। এতে প্রসূতি মায়ের পরীক্ষা করতে বাইরের ক্লিনিক অথবা বিভাগীয় শহর বরিশালে যেতে হতো। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন না থাকায় রোগীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। অবশেষে এ মাসের শুরুতেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে তিনটি আধুনিক মেশিন যুক্ত করায় সেবা পাচ্ছে রোগীরা। আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে ১১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা ফি নেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল এক্স-রে করাতে খরচ হচ্ছে ৫৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা। কফ পরীক্ষা করা হচ্ছে বিনামূল্যে।
স্থানীয় ক্লিনিকে এ ধরনের পরীক্ষার জন্য ফি নেওয়া হচ্ছে কয়েকগুন বেশি। অল্প খরচে সেবা পেয়ে খুশি উপজেলার বাসিন্দারাও। এ ছাড়া এখানে রক্তের যেকোনো পরীক্ষা, কফ পরীক্ষা, করোনার নমুনা সংগ্রহ ও করোনার চিকিৎসা করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। গরিব মানুষের করোনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হচ্ছে।
নলছিটি শহরের মল্লিকপুর এলাকার রুবিনা আক্তার বলেন, ‘আমি সন্তানসম্ভবা একজন মা। চিকিৎসকের পরামর্শে ক্লিনিক থেকে আলট্রাসনোগ্রাফি করিয়েছি। এতে ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত লেগেছে। এখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করালাম মাত্র ১১০ টাকায়। এ জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মুনীবুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘নতুন করে তিনটি মেশিন যুক্ত হওয়ায় সরকার নির্ধারিত অল্প খরচে পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষা করাতে রোগীও আসছে নিয়মিত।’
নলছিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শিউলী পারভীন বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবার মান অনেক হাসপাতালের চেয়ে উন্নত। দক্ষ চিকিৎসকরা আলট্রাসনোগ্রাম করছেন। ডিজিটাল এক্স-রে হচ্ছে, জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে যক্ষ্মা নির্ণয়ে কফ পরীক্ষা করা হচ্ছে। রয়েছে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থাও। সবধরনের রোগী এখানে চিকিৎসা পাচ্ছে। আমরা করোনার চিকিৎসা করে যাচ্ছি শুরু থেকেই। গরিব রোগীদের বিনামূল্যে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রসূতি মায়েদের সেবা দেওয়া হয় এখানে। ক্লিনিকে না গিয়ে এ ধরনের পরীক্ষার জন্য তিনি রোগীদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন।