নাব্য সংকটে মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারছে না বিদেশি জাহাজ
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জেটিতে নাব্য সংকটে সময়মতো ভিড়তে পারছে না বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ। ফলে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আমদানিকৃত মালামাল নিয়ে দুই দিন ধরে বন্দরের ফেয়ারওয়ে এলাকায় বাধ্য হয়ে অবস্থান করছে একটি বিদেশি জাহাজ।
বিদেশি জাহাজ এমভি এসটিএল হারভেস্টের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কিউএনএসের খুলনার ম্যানেজার মো. নাজমুল জানান, পানামার পতাকাবাহী এমভি এসটিএল হারভেস্ট ভারত থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনহাজার ৯০০ মেট্টিক টন মালামাল নিয়ে গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে আসে। ফেয়ারওয়েতে আসার আগের দিন রোববার জাহাজটি বন্দর জেটিতে আনার জন্য পাইলট বুকিং দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বন্দর জেটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ গভীরতা না থাকায় কর্তৃপক্ষ জাহাজটি আনতে পারছে না। বন্দর জেটির শুধু ৯ নম্বরে নাব্যতা রয়েছে। সেখানেও বর্তমানে আরও একটি জাহাজ রয়েছে। এ ছাড়া ৭ ও ৮ নম্বরেও রয়েছে নাব্য সংকট। ফলে সময় মতো জাহাজটি জেটিতে আনতে পারছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আসা জাহাজটি জেটিতে আনতে না পারায় এবং দ্রুত খালাস করতে না পারলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চলমান কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে।
চলতি মাসের ১৫ তারিখেও রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে একটি বিদেশি জাহাজ এ বন্দরে আসবে। তবে জেটিতে যে নাব্য সংকট রয়েছে, তাতে জাহাজ আনা ও পণ্য খালাসে কী অবস্থা হবে; তা এখন বলতে পারছি না।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, ‘জেটিতে প্রতি বছরই ড্রেজিং করে নাব্য সংরক্ষণ করতে হয়। এবারও তা করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টিতে বিলম্ব হচ্ছে। জেটির ৯ নম্বরে নাব্য রয়েছে, সেখানে সাত মিটারের জাহাজ ভিড়তে পারছে। আর সেখানে বর্তমানে একটি জাহাজও রয়েছে। বাকি ৭ ও ৮ নম্বরে ড্রেজিংয়ের জন্য ডাইক (বালু ফেলার স্থান) নির্মাণে বন্দরের নির্ধারিত জায়গা প্রস্তুত করতে গেলে সেখানে অবৈধ ধান ক্ষেতের কারণে তা বিলম্ব হয়। আশা করছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এ সমস্যা আর থাকবে না।’