নির্বাচনের আগের দিন ভোট বর্জনের ঘোষণা
নির্বাচনি পরিবেশ না থাকার অভিযোগ এনে নির্বাচনের আগের দিন ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ীর স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে পদপ্রার্থী হওয়ায় সাবেক এই মেয়রকে দল থেকে বহিষ্কার করে জামায়াতে ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে নিজের স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন আমিনুল ইসলাম।
সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আমিনুল ইসলাম জানান, তাঁর ব্যানার ফেস্টুন খুলে ফেলা হচ্ছে, কর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনে এসবের অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সরকার দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে স্থানীয় প্রশাসন সব প্রকার আয়োজন করেছে। তাই তিনি ভোট বর্জন করছেন।
গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র পদের উপনির্বাচনে আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস (নারিকেল গাছ) ও গোলাম কিবরিয়া রুলু (মোবাইল ফোন)।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে জান্নাতুল ফেরদাউস বলেছিলেন, ‘এলাকায় ভোটের পরিবেশ নেই। ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলা হচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’
জান্নাতুল ফেরদাউসের স্বামী প্রয়াত মনিরুল ইসলাম বাবু ছিলেন পৌরসভার টানা দুইবারের মেয়র। প্রথমবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করে মেয়র হয়েছিলেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ হয়ে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর এপ্রিলে ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি মারা যান। সে কারণেই এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে নৌকার প্রার্থী ছাড়া অন্য সব প্রার্থীর একই অভিযোগ থাকলেও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ খুবই ভালো। কোথাও কোনো সমস্যা নেই।’
একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন, সে খবর তিনি জানেন না বলে জানান।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই পৌরসভার ১৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৯০৫ জন। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেবেন তারা।