নৈতিক স্খলনের অভিযোগে চাকরি হারালেন পুলিশের এসআই
পাবনা শহরের কাচারীপাড়ার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাছির আহম্মেদকে পরকীয়া, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) এসআই পদে কর্মরত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার রুবিনা আক্তার রুনার সঙ্গে এসআই নাছির আহম্মেদের পুলিশে চাকরি হওয়ার আগেই (২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নাছির পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। এই যৌতুক না দেওয়ায় নাছির প্রায়ই তার স্ত্রী রুনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। একপর্যায়ে নাছির তার স্ত্রীকে মারপিট করে আহত করেন। বিয়ের প্রায় দুই বছর পর ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর নাছির পুলিশের এসআই পদে চাকরিতে যোগ দেন।
এদিকে যৌতুক দাবি ও মেয়ে মারপিটের ঘটনায় রুবিনার বাবা বাদী হয়ে ২০১৯ সালে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এসআই নাছির আহম্মেদ, তার বাবা মোস্তাক আহম্মেদ, মা সালমা আহম্মেদ ও বোন লাকী খাতুনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নাছির আহম্মেদসহ সবার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। নাছির আদালতে জামিনের জন্য হাজির হলে আদাল তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
এসআই নাছির আহম্মেদ রাজশাহীর রুকু খাতুন নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত বলেও ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তর তাকে সে সময় সাময়িক বরখাস্ত করে এবং বিভাগীয় মামলা করে।
পরে বিভিন্ন তদন্তে নাছিরের যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, পরকীয়া ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এতে পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকালীন সময়ের জন্য তিনি সরকারি নিয়মে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।