নোয়াখালীতে গৃহবধূকে নির্যাতন, স্বামী-ননদ গ্রেপ্তার, দেবর পলাতক
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর ওই গৃহবধূর স্বামী ও ননদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে আজ সোমবার রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধূর দেবর পলাতক রয়েছেন।
উপজেলার ৭ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে গত শনিবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল রোববার কে বা কারা ওই নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে দিলে তা ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন আমির হোসেন ও তাঁর বোন হাসিনা বেগম। পলাতক দেবরের নাম এরশাদ। তাঁরা উপজেলার ৭ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূকে তাঁর স্বামী আমির হোসেন ও দেবর এরশাদ নির্দয়ভাবে চুলের মুঠি ধরে লাঠিপেটা, চড়-থাপ্পড় দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেন। এ সময় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে নির্যাতনের এক মিনিট ১৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও কে বা কারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
অভিযোগ ওঠে, আমির ও এরশাদ মাদক ব্যবসা ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের ভয়ে কেউ এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। ঘটনার পর থেকে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ তাঁর বাবার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কী কারণে এই নির্যাতন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, সেনবাগের নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর বিরুদ্ধে মানুষ ধিক্কার জানায়। পরে এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ ঘটনার আরেক হোতা ওই গৃহবধূর দেবর এরশাদ পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
ওসি আব্দুল বাতেন আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় আজ সোমবার সকালে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।