ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন নিজেই!
জামালপুরের বকশীগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে মসজিদ কমিটির সভাপতিকে ফাঁসাতে নিজেই ফেঁসেছেন এক মাদক ব্যবসায়ী। আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে ।
বকশীগঞ্জে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) হস্তক্ষেপ ও বিচক্ষণতায় মাদক মামলা থেকে রক্ষা পান মসজিদ কমিটির সভাপতি মুর্শিদ মিয়া (৫৫)।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বৈষ্ণবপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মুর্শিদ মিয়ার সঙ্গে পাশের এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইস্রাফিল আলমের (৪৫) বিরোধ চলছিল। গতকাল রোববার রাতে মুর্শিদ মিয়ার বাড়ির পেছনে ফেনসিডিল রয়েছে—এমন তথ্য পুলিশকে জানান তিনি। এই খবরের ভিত্তিতে থানা পুলিশ রাত ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে সভাপতির বাড়ির পেছন থেকে ২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে তা জব্দ করে।
এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা ঘটনাটি অবহিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন এবং অভিযোগকারী ইস্রাফিল আলমের গতিবিধি অনুসরণ করেন। একপর্যায়ে তাঁকে সন্দেহ হলে আটক করা হয়। আজ সোমবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মুর্শিদ মিয়াকে ফাঁসাতে তিনি ও তাঁর এক সহযোগী ফেনসিডিলের বোতলগুলো রেখেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি জানান, এই ঘটনায় মসজিদ কমিটির সভাপতিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করায় উপপরিদর্শক (এসআই) উমর ফারুক বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ইস্রাফিল আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। তাঁকে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এমন রহস্য উদঘাটন করে নিরীহ একটি পরিবারকে রক্ষা করায় এলাকাবাসী নবাগত ওসি সোহেল রানার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছে।