ফেরেশতাকেও ইসির দায়িত্ব দিলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না : আলাল
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ফেরেশতাকে দিলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এই সরকারকে দেশের মানুষ আর এক মুহূর্ত ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে আজ বৃহস্পতিবার তিনি এসব কথা বলেন। অবিলম্বে বিনাভোটের সরকারের পদত্যাগ ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই অনুষ্ঠান হয়।
চট্টগ্রামে বিএনপির গণসমাবেশে বিপুল লোকসমাগম প্রসঙ্গে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাংশের অতি উৎসাহী কর্মকর্তার কারণে অনেক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকাতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনের ত্রুটি ইতোমধ্যে প্রমাণিত। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনে ফেরেশতা বসিয়ে দিলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
আলাল বলেন, সীমাহীন অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক নির্বাচন বন্ধ করার কথা। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন বন্ধ করেছেন। তাদের কথা ডিসি এসপিরা মানে না। যত ভালো মানুষ হোক না কেনো আওয়ামী লীগের অধীনে কেউ ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের উচিত আদালতে গিয়ে নির্দেশনা চাওয়া বা পদত্যাগ করা। এছাড়া কোনো পথ নেই।
আলাল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনেও জোরপূর্বক ফল ছিনতাই করে নিজেদের প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এখন সব নির্বাচন নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। আসলে নির্বাচন কমিশন এখন জাতীয় নির্বাসন কমিশন। আজকে তারা আমাদের মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতেও হামলা করেছে। বিএনপি কিন্তু শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের মানুষ আর এক মুহূর্তে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণ আমাদের সাথে শামিল হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে। একসাথে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের পথ সুগম হবে।
এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও মোফাজ্জল হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ছাত্রদলের সাবেক নেতা জহিরউদ্দিন তুহিন প্রমুখ।