বরিশাল মেডিকেলের সিসিইউতে অগ্নিকাণ্ড, ‘হুড়োহুড়িতে’ রোগীর মৃত্যু
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো রোগী হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। যদিও ঘটনার সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়। রোগীর স্বজনেরা বলছেন, আতঙ্কে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে—অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে ওই রোগীর মৃত্যুর সম্পর্ক নেই।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘(মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ৯টার পরে আমি হাসপাতালে নিয়মিত রোগী ভিজিটে ছিলাম। তখন সিসিইউতে হঠাৎ শর্টসার্কিটে আগুন লেগে যায়। তখন আমি নিজে থেকেই রোগীদের সরিয়ে নিই।’
পরিচালক আরও বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপণে হাসপাতালের প্রশিক্ষিত কর্মীদের প্রচেষ্টায় তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তারপরও ওই ওয়ার্ডের রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আমি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই। ওজোপাডিকোতে জানিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করি।’
ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অক্সিজেন লাইনে কোনো অগ্নিকাণ্ড ঘটেনি। যাঁরা বলছেন, তাঁরা না জেনে বলছেন। আমি হাসপাতালে ভিজিটে তখন ছিলাম। রোগীদের হুড়োহুড়ির সময়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তা আতঙ্কে বলে মনে হয় না। ওই রোগী আগেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন।’
হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেন হাসপাতালের কর্মীরাই। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারও মত্যু হয়ননি। ওয়ার্ডে থাকা অন্য রোগীদের পাশের পোস্ট সিসিইউ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, আগুনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে গৌরনদীর সরিকলের বাসিন্দা ৬০ বছরের বৃদ্ধ রমনী দাসের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ভর্তি থেকেই মুমূর্ষু ছিলেন।
হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার বলেন, রোগীদের পুনরায় সিসিইউতে নেওয়ার কাজ চলছে।