বান্দরবানে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আবারও বাড়ল
নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, আলীকদম ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিষেধাজ্ঞা আরও চার দিন বাড়ানো হয়। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় এই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হলো।
নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনসূত্রে জানা যায়, বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তারমধ্যে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় গত ১৮ অক্টোবর থেকে এবং রুমা ও থানচি উপজেলায় গত ২৩ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, ‘বান্দরবানের পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ও তথ্য সংগ্রহের জন্য নিরাপত্তার বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।’
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার কারণে রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝরনা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝরনা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝরনা, থানচি উপজেলার নাফাকুম, অমিয়কুম, বড়পাথর, রেমাক্রী, বাদুরগুহা, আন্ধারমানিক, বাকলাই ঝরনা এবং আলীকদম উপজেলার দামতুয়া ঝরনা, ডিম পাহাড়, করুকপাতা ঝরনাসহ চারটি উপজেলার আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন না পর্যটকরা।