ইউক্রেন যুদ্ধ : আরও ১৩০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে সহায়তার অভিযোগে নতুন করে বেশ কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দেওয়া নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে তুরস্ক, চীন ও আরব আমিরাতের ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান। মস্কোর সরবরাহ চেইনকে বাধাগ্রস্ত করতেই এমনটি করেছে ওয়াশিংটন। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি, সরঞ্জাম এবং অন্যান্য পণ্যের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। এসবের জন্য বাইরের দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল তারা।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধ চিরস্থায়ী করতে চায় রাশিয়া। সামরিক বাহিনীর জন্য তারা তৃতীয় পক্ষের দেশগুলোর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল। ওই সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আমরা জবাবদিহির আওতায় আনতে দ্বিধা করব না।
জ্যানেট ইয়েলেন ওই বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক সম্পর্কের নামে রাশিয়া অন্যান্য দেশগুলোকে শোষণ করছে।’ দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের তথ্যমতে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা চীন, তুরস্ক ও আরব আমিরাতে ওইসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় এমন সব পণ্য ও উপাদান সরবরাহ করছে যেগুলো দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য। এসব পণ্য বা উপাদান অস্ত্রের জন্য ব্যবহার করে মস্কো।
এএফপি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ১৩০ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় তুরস্কের নাগরিক বের্ক তুরকেন রয়েছে। নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ শিল্পকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী ইউক্রেনে আক্রমণ চালায় রাশিয়া। এরপরেই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধে, যা চলমান। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ইউরোপে হওয়া সবচেয়ে বড় সংঘাত এটি।