বাবা গিয়ে দেখলেন জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/09/30/gopalganj-pic.jpg)
গোপালগঞ্জে অমিতোষ হালদার (২৬) নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের পাটিকেলবাড়ি পূর্বপাড়ার হালদারবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে তার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।
অমিতোষ হালদার ওই গ্রামের ভুপেন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে। তিনি জবির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের সম্মান শেষবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে খাবার শেষে সবার সঙ্গে কথাবার্তা বলে তার কক্ষে ঘুমাতে যান অমিতোষ হালদার। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মা-বাবা ঘুম থেকে জেগে দেখতে পান ছেলের দরজা বাহির থেকে বন্ধ। পরে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে গিয়ে ছেলে অমিতোষকে মেহগনি গাছে ঝুলতে দেখে বাবা ভুপেন্দ্রনাথ হালদার চিৎকার দেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে।
এ ঘটনায় পরে পুলিশকে খবর দিলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
এ ব্যাপারে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘লাশের লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা। তবে কী কারণে এ আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় আমিতোষ ঢাকায় থাকতেন। দুই মাস আগে তিনি একবার বাড়িতে আসেন। এরপর কিছুদিন বাড়িতে অবস্থান করে আবার ঢাকায় ফিরে যান। কয়েকদিন আগে আবার বাড়িতে এসে মনমরা ভাব নিয়ে থাকতেন বলে তার বাবা ভুপেন্দ্রনাথ হালদার জানান। তিনি ছেলের মনমরা ভাব দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো সঠিক উত্তর পাননি।
ভুপেন্দ্রনাথ হালদার আরও জানান, অমিতোষের আজ সকালে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। সেজন্য তিনি প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। আগামী ৭ অক্টোবর তার পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।