বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বর্তমানে বিএনপিতে ৮০ জন নেতা, ২০ জন কর্মী। সবাই নেতা, কর্মী নেই কেউ। যেদিন সবাই কর্মী হবে, সামনে একজন নেতা হবে, সেদিন গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।

সভায় ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি বজলুল বাসিত আনজু সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমান বন্দনা পছন্দ করতেন না। তাঁকে যদি কেউ বিশেষণ দিয়ে কথা বলতেন, তিনি তাঁকে বসিয়ে দিতেন। কিন্তু কেউ যদি তাঁর সমালোচনা করতেন তিনি তাঁকে উৎসাহ দিতেন। কিন্তু আমরা এখন কমবেশি সবাই বন্দনা পছন্দ করি।

‘জিয়াউর রহমান ভাষণ-স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করতেন না। তিনি উৎপাদনের রাজনীতি করতেন’ বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন জিয়াউর রহমান যে উপহার পেতেন তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রাখতেন। আর এখনকার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপহারের ঘড়ি হাতে দিয়ে রাখেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এখনকার নেতারা মার্সিডিজ গাড়ি ছাড়া চলাচল করেন না। আর জিয়াউর রহমান মাত্র ১৩০০ সিসির গাড়ি ব্যবহার করতেন। তিনি খাবারের তিন তরকারি দিয়ে ভাত খেতেন। মাছ থাকলে মাংস থাকতো না, মাংস থাকলে মাছ থাকতো না, সঙ্গে ডাল এবং ভাজি দিয়ে খেতেন।