বুয়েট শিক্ষার্থী সানি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল
দোহারের মৈনট ঘাটে পদ্মার পানিতে ডুবে বুয়েট শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. কামরুন্নাহার এই আদেশ দিয়েছেন। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য ছিল, কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় বিচারক পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় আসামি করা হয়েছে—শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, মো. রুবেল, মো. সজীব, মো. নুরুজ্জামান, মো. নাসির, মো. মারুফ, মো. আশরাফুল আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মো. মারুফুল হক ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু। এ মামলার ১৫ আসামি বর্তমানে কারাগারে।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৪ জুলাই একসঙ্গে ১৫-১৬ যুবক পদ্মা নদীতে ঘুরতে যান। সন্ধ্যার পর সানি নামে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। রাতেই স্থানীয়দের দেওয়া খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোহার থানা পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ওই বছরের ১৫ জুলাই সকালে সানির মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। সুরতহাল শেষে ওই বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পদ্মায় বুয়েটের নিখোঁজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় পরে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে।