ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিনের তিন নারী সহযোগীর জামিন নাকচ

চিত্রনায়িকা পরী মণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন মাহমুদের তিন নারী সহযোগীর জামিন নাকচ করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এই আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন নাজমা আমিন বৃষ্টি (২৪), লিপি আক্তার (১৮) ও সুমি আক্তার (১৯)। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ জুয়েল জামিনের শুনানি করেন।
জিআরও বলেন, গত ১৫ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নাসিরসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। এর মধ্যে তিন নারী সহযোগীকে তিনদিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেই রিমান্ড শেষ হলে গতকাল শনিবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপরে তাঁদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে, বিচারক আজ জামিন শুনানির দিন নির্ধারণ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১৪ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় এই মামলা হয়।

জানা যায়, গত ৯ জুন রাতে চিত্রনায়িকা পরী মণি সাভারের বিরুলিয়ার তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে এক ব্যক্তির সঙ্গে যান। সেসময় তাঁকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ী।
এরপরে গত ১২ জুন সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন পরী মণি। তিনি দাবি করেছেন যে, ছয়জন তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিল। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর রাতে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সংবাদ সম্মেলনে এই নায়িকা জানান, তিনি জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। নিজ বাসায় তিনি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন না।
পরী মণি বলেন, ‘আমি সুইসাইড (আত্মহত্যা) করার মতো মেয়ে না। আজকে যদি আমি মরে যাই, সবাইকে জানাতে চাই, আমি সুইসাইড করব না।’
ঘটনার পর ভোর রাতে বনানী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান এই অভিনেত্রী।