মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়রের জামিন
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যানকে থাপ্পড় মারার মামলার আসামি পৌরসভার প্যানেল মেয়র জামিন পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মাদ আব্দুন নূর আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
জামিনপ্রাপ্ত মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবদুর রাজ্জাক রাজা জেলা যুবলীগেরও আহ্বায়ক।
উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভা শুরু হয়। ওই সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এবং ইউপি চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয় সভায় বেলা দেড়টার দিকে খাবারের বিরতির সময় আগের একটি ঘটনা নিয়ে প্যানেল মেয়র আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল জলিলের তর্কবিতর্কের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে প্যানেল মেয়র সভায় উপস্থিত লোকজনের সামনেই ইউপি চেয়ারম্যান জলিলকে থাপ্পড় মারেন।
এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইউএনও থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে প্যানেল মেয়রকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বাদী হয়ে প্যানেল মেয়রকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা পরিষদের ওই সভায় প্যানেল মেয়র তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এ সময় প্রতিবাদ করলে প্যানেল মেয়র তাঁকে হত্যার উদ্দেশে গলা চেপে ধরেন এবং চড়-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে আসামি আবদুর রাজ্জাককে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাস্ট্রেট আদালত ৫-এ পাঠানো হয়। পরে আদালতের বিচারক মুহাম্মাদ আব্দুন নূর আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী গোলাম মহীউদ্দিন ও আইনজীবী দেওয়ান আবদুল মতিন।
আইনজীবী আবদুল মতিন বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে আসামির জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। এ সময় বাদী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জলিলও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জামিন দেওয়ার বিষয়ে বাদীর কোনো আপত্তি না থাকায় বিচারক আসামির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। এক হাজার টাকা জামানত ও আসামির মুচলেকা নিয়ে আসামিকে জামিন দেওয়া হয়।