মুন্সীগঞ্জে ভেরিফিকেশনসহ পুলিশিসেবা সহজীকরণে হটলাইন চালু
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/09/07/munshiganj-news-pic.jpg)
মুন্সীগঞ্জে পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনসহ সব ধরনের পুলিশ ভেরিফিকেশন সেবা দ্রুততর ও সহজীকরণের লক্ষ্যে হটলাইন নম্বর চালু করেছে জেলা পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে হটলাইন নম্বর ০১৩২০০৯৪২৯৯ উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য কোনো রকম অর্থ লেনদেন না করতে মুন্সীগঞ্জ জেলার সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন।
পুলিশ সুপার জানান, ২০২০ সাল থেকে বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে বিগত বছরগুলোতে বিদেশে যাওয়ার হার তুলনামূলকভাবে হ্রাস পায়। সম্প্রতি করোনার প্রকোপ কমে আসায় মুন্সীগঞ্জসহ দেশব্যাপী বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রাপ্তির আবেদন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জুলাই মাসে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য মোট আবেদন ছিল দুই হাজার ৯১২টি, আগস্ট মাসে বেড়ে দাঁড়ায় তিন হাজার ৪৯৩টি; গত জুলাই মাসে পাসপোর্টের ভেরিফিকেশন হয় তিন হাজার ৫০৯টি, আগস্ট মাসে বেড়ে দাঁড়ায় ছয় হাজার ৪৪৬টি। কোনো হয়রানি ছাড়া সাধারণ মানুষ যেন নির্ধারিত সময়েই পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হাতে পায়, তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সঠিক তথ্য যেন সহজেই পেতে পারে সে জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই হটলাইন নম্বর চালু করা হলো। এ নম্বরে কল দিয়ে জনসাধারণ এ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ও অভিযোগ জানাতে পারবেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও পাসপোর্ট অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ভুয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা সেজে অনেক প্রতারক ও স্বার্থান্বেষী মহল আবেদনকারীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকে। এসব হয়রানি থেকে জেলার মানুষ মুক্তি পাবে এ কার্যক্রমের মাধ্যমে।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে পুলিশ সুপার যেকোনো বিশৃঙ্খলার বিষয়ে জেলা পুলিশকে অবহিত করার কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুমন দেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. আদিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইয়াসিনা ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুন্সীগঞ্জ সার্কেল) মো. মিনহাজ-উল ইসলামসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।