মুন্সীগঞ্জে ১০ কিলোমিটার ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
মুন্সীগঞ্জ সদরে দৌড়প্রেমী ও স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা। দেশসেরা দৌড়বিদ, নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে প্রবীণরাও অংশ নেন এ আয়োজনে।
আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট থেকে শুরু হয়ে দৌড় চলে যোগিনীঘাট, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, চরকিশোরগঞ্জ হয়ে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।
আরও পড়ুন : অ্যান্ড্রুর রাজকীয় উপাধি প্রত্যাহার করলেন রাজা, প্রাসাদ ছাড়ার নির্দেশ
মুন্সীগঞ্জ রানার গ্রুপের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় দেশসেরা রানার দেবাশীষ ঘোষ এবং দেশের ‘আয়রন ম্যান’ খ্যাত ডা. সাকলাইন রাসেলসহ অংশ নেন প্রায় চার শতাধিক প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতাটি দুইটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়-সাড়ে সাত কিলোমিটার এবং পাঁচ কিলোমিটার। দৌড়ের রুটটি ছিল মোটামুটি সমতল ও গ্রামীণ পরিবেশে ঘেরা, যা অংশগ্রহণকারীদের দিয়েছে ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা।
প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করে বিডি ক্লিন মুন্সীগঞ্জ, রেড ক্রিসেন্ট মুন্সীগঞ্জ, বিএনসিসি ও জেলা পুলিশ মুন্সীগঞ্জ। বিভিন্ন পয়েন্টে ছিল হাইড্রেশনেরও ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন : জ্যামাইকায় ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
মুন্সীগঞ্জ রানার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও অ্যাডমিন দেওয়ান মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ম্যারাথন কেবল একটি দৌড় নয়, এটি মানুষের ধৈর্য, অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এখানে জয়ের চেয়ে বড় বিষয় হলো অংশগ্রহণ-কারণ প্রতিটি পদক্ষেপই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এক নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে দেখাতে চাই, মুন্সীগঞ্জের মানুষও স্বাস্থ্যসচেতন, উদ্যমী এবং একতাবদ্ধ। সকালে একসঙ্গে দৌড়ানো শুধু শরীরচর্চা নয়, এটি সমাজে একধরনের সংযোগ তৈরি করে। মানুষ যখন একসাথে মাঠে নামে, তখন পরস্পরের প্রতি অনুপ্রেরণা, ইতিবাচকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জন্ম নেয়- এটাই আমাদের আয়োজনের আসল সাফল্য।
আরও পড়ুন : ট্রাম্পের পরমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ইরান
গ্রুপের অ্যাডমিন আহাদুল ইসলাম বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্মকে শৃঙ্খলা, সময়নিষ্ঠা ও মানসিক দৃঢ়তার দিকেও অনুপ্রাণিত করতে চাই। দৌড়ানোর অভ্যাস একজন মানুষকে শুধু সুস্থ রাখে না, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ম ও স্থিরতা আনে। আমাদের লক্ষ্য হলো দৌড়কে একটি স্বাস্থ্যকর সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়া, যেন সবাই বুঝতে পারে- সুস্থ থাকা কোনো বিলাসিতা নয়, বরং এটি নিজের এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ব।
গত ১৯ অক্টোবর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় এই দৌড় প্রতিযোগিতার সব মেডেল। ফলে অনুষ্ঠানে কোনো প্রতিযোগীকেই মেডেল দেওয়া সম্ভব হয়নি। নতুন করে মেডেল তৈরির অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানায়। আগামী এক মাসের মধ্যেই নির্ধারিত দূরত্ব অতিক্রম করা প্রতিটি প্রতিযোগীর হাতে মেডেল পৌঁছে দেওয়া হবে।

মঈনউদ্দিন সুমন, মুন্সীগঞ্জ