মুন্সীগঞ্জে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় প্রথমবারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে আমন চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের লালবাড়ি এলাকায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের বাস্তবায়নে এসিআই মটরস এর সহযোগিতায় এ ধান রোপণ কার্যক্রমের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনকালে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ কুমার সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ জেলার উপপরিচালক খুরশীদ আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাসিনা জাহান তোরণ, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন, এসিআই মটরস মার্কেটিং কর্মকর্তা সুব্রত চন্দ্র ধর, যন্ত্রের মালিক কৃষক হুমায়ুন কবির সাগর, ইছাপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুখন চৌধুরী, কৃষক লিটন হোসেনসহ আরও অনেকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ জেলার উপপরিচালক খুরশীদ আলম বলেন, ‘ব্রি-ধান ৪৯ ও বিনা ১১ জাতের রোপা আমন ধান এ বছর আট হেক্টর জমিতে রোপণ করা হবে। এ ছাড়া উন্নত বিশ্বে যান্ত্রিক প্রযুক্তির মাধ্যমেই কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। দেরিতে ধান রোপণের ফলে বোরো, আমন ও আউশ মৌসুমে প্রতিদিনে হেক্টর প্রতি যথাক্রমে ৬০, ৫৫ ও নয় কেজি ফলন কমে যায়। দেশের প্রায় শতকরা শতভাগ ধানী জমি হাতে চারা রোপণের মাধ্যমে চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এবং বীজতলা থেকে চারা ওঠানো ও জমিতে রোপণের জন্য ধান চাষে মোট খরচের প্রায় ৩০ শতাংশ ব্যয় হয়ে থাকে। দেশে ধানের চারা রোপণের ভরা মৌসুমে ব্যাপকভাবে শ্রমিকের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। শ্রমিক স্বল্পতার কারণে কৃষক বিলম্বে চারা রোপণ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ।