রাজউকের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার স্ত্রীর কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তাহমিদ ইসলাম মিলনের স্ত্রী মোসা. নেকলেস ইসলাম পলিকে পৃথক দুই ধারায় চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় নেকলেস ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
রায় থেকে জানা গেছে, দুদক আইনের ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় নেকলেস ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক। অপরদিকে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় তাকে আরও তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা অর্থদণ্ড করেন। এ ছাড়া অসাধু উপায়ে অর্জিত ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।
এজাহার থেকে জানা গেছে, নেকলেস ইসলাম গৃহিণী। তার দৃশ্যমান কোনো আয়ের উৎস নেই। তাঁর স্বামী তাহমিদুল ইসলাম ১৯৯১ সাল থেকে কনিষ্ঠ হিসাব সহকারী এবং ২০০২ সালে মামলা দায়ের হওয়া পর্যন্ত রাজউকে হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বামীর দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নেকলেস ইসলাম জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর সম্পদ বিবরণী দাখিলে নোটিশ দেয় দুদক। নেকলেস ইসলাম ২৮ অক্টোবর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৪ লাখ ১২ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ গোপন করে, মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং নিজ নামে অর্জিত ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদের মধ্যে ৩৫ লাখ সাত হাজার ২৪০ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখেন।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে ২০১৭ সালের ৪ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।