রূপপুরের মালামাল নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে ‘আনকা সান’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে সরাসরি রাশিয়া থেকে ছেড়ে আসা বিদেশি জাহাজ এমভি ‘আনকা সান’ মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে। বিভিন্ন ধরনের মেশিনারি পণ্য নিয়ে আসা এ জাহাজটি শনিবার (৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে।
বিদেশি এ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিং লাইন্সর খুলনার ম্যানেজার (অপারেশন) সাধন কুমার চক্রবর্তী জানান, গত ২ এপ্রিল রাশিয়ার নভোরোসিয়েস্ক বন্দর থেকে ১ হাজার ৬২২ দশমিক ৯০৪ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বিদেশি জাহাজ এমভি আনকা সান। এরপর শনিবার দুপুর ১২টায় মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে রাশিয়ান পতাকাবাহী এ জাহাজটি। এরপর দুপুর থেকেই এ জাহাজটি হতে ৬৩০ প্যাকেজে আসা বিভিন্ন মেশিনারি পণ্য খালাসের কাজ শুরু হয়। খালাস শেষে এ পণ্য সড়ক পথে নেওয়া হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল রূপপুরের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরে এসেছিল এমভি ইয়ামাল অরলান। আর তারও আগে এসেছিল এমভি ড্রাগনবল ও এমভি কামিল্লা। এছাড়া এর আগেও আরেকবার এসেছে আনকা সানও।
উল্লেখ্য, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে রাশিয়া থেকে সরাসরি আসতে না পারায় ভারত ট্রানজিট হয়ে মোংলা বন্দরে আসে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন ধরনের মালামালের কয়েকটি চালান।
এদিকে সাম্প্রতিককালে ৭টি জাহাজ কোম্পানির ৬৯টি জাহাজে রূপপুরের পণ্য পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকা জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে রূপপুরের পণ্য নিয়ে সরাসরি মোংলা বন্দরে আসছে। আর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে ভারতের হলদিয়া বন্দরে খালাস করছে, পরে তা বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিট চুক্তির আওতায় সেখান থেকে পণ্য আসছে মোংলা বন্দরে। আবার কোনো কোনো পণ্য হলদিয়া বন্দর থেকে সড়কপথেও আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা শিপিং এজেন্ট।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) কালাচাঁদ সিংহ বলেন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলেই দেশের মেগাপ্রকল্পগুলোর মালামাল ও আমদানিকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বেশির ভাগই এ বন্দর দিয়ে খালাস হচ্ছে। বন্দরের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও সেবায় আকৃষ্ট হয়ে এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ দিনকে দিন বাড়ছে আমদানি-রপ্তানিকারকদের। বন্দরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের যথাসময়ে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন করে এ বন্দরের সুনাম আরও বেশি ছড়িয়ে পড়েছে।